বগুড়া সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ০৯:২৫ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বগুড়ায় হিমালিয়ান গৃধিনী শকুন উদ্ধার

বগুড়ায় হিমালিয়ান গৃধিনী প্রজাতির শকুন উদ্ধার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘টিম ফর এনার্জি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ’ (তীর) সদস্যরা প্রকৃতির ঝাড়ুদার শকুনটি উদ্ধার করে। 

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারী) তীরের সভাপতি রিফাত হাসান জানান, আগেরদিন মঙ্গলবার শিবগঞ্জ উপজেলার বগিলাগাড়ি গ্রাম থেকে শকুনটিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বগুড়া সামাজিক বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম রেজাউল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রিফাত হাসান জানান, শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠনের (তীর) সদস্যরা আইইউসিএন নামক আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বন বিভাগের যৌথ প্রচেষ্টায় শকুন সংরক্ষণে কাজ করে আসছে। শীতের বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের উপর দিয়ে যাতায়াতের সময় ক্লান্ত ও অসুস্থ হয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় এসব পতিত হলে বন বিভাগ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উদ্ধারে কাজ করে। এই শকুনটি বৈদ্যুতিক তারে সর্ট খেয়ে পড়ে যায়।  খবর পেয়ে ‘তীর’ বিহার আঞ্চলিক কমিটির সদস্যরা শকুনটিকে উদ্ধার করতে যায়। কিন্তু গ্রামবাসী শকুনটিকে দিতে চাচ্ছিলো না। শকুনটি তাদের গ্রামে পড়েছে। ‍অনেক বুঝিয়ে শকুনটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের মাঝে বণ্যপ্রাণী রক্ষায় লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। 

সরকারি আজিজুল হক কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এসএম ইকবাল বলেন, উদ্ধার হওয়া শকুনটি ‘হিমালিয়ান গৃধিনী’ প্রজাতির। শকুন হচ্ছে প্রকৃতির ঝাড়ুদার। শকুন বড় ডানার বৃহদাকার পাখি, এটি তীক্ষ্ণ দৃষ্টির অধিকারী মৃত প্রাণী ভক্ষণকারী পাখি। শকুনই একমাত্র প্রাণী যারা রোগাক্রান্ত মৃত প্রাণী খেয়ে হজম করতে পারে এবং অ্যানথ্রাক্স, যক্ষা, খুরারোগের সংক্রমণ থেকে জীবকূলকে রক্ষা করে।

বাংলাদেশের শকুন নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘আইইউসিএন- বাংলাদেশ’ এর তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে মোটে ২৬০টি শকুন রয়েছে। তবে বন বিভাগের সাথে ‘আই.ইউ.সি.এন-বাংলাদেশ’ এর যৌথ প্রচেষ্টায় প্রকৃতির এই ঝাড়ুদারকে স্বরূপে সরব উপস্থিতিতে ফিরিয়ে আনার বিজ্ঞান সম্মত কার্যক্রম চলমান। 

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘টিম ফর এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ’ (তীর) শকুনসহ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ২০১১ সাল থেকে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য সংগঠনটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জাতীয় পদক ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ এন্ড কনজারভেশন ২০২১’ এ ভূষিত হয়। 

 

মন্তব্য করুন