রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৪ জুন, ২০২৪, ০৫:৩০ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বিশেষ মহল বিএনপির সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি সংগৃহীত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, একটি বিশেষ মহল বিএনপির সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের সঙ্গে কিছু সংবাদমাধ্যমও লিপ্ত। তদন্তের আগে কাউকে অপরাধী বলা নৈতিক নয়। কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে যেন সংবাদ প্রকাশ না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকা উচিত। কেউ যেন ইনোসেন্ট ভিক্টিম না হয়।

 আজ সোমবার (২৪ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পত্রিকায় দেখেছি নতুন মহাসচিব খুঁজছে বিএনপি। আরও দেখেছি মির্জা ফখরুল কান্না করছেন। এখন এই কান্না খালেদা জিয়ার জন্য না। তার এই কান্না পদ হারানোর ভয়ে কিনা তা খুঁজে দেখার বিষয়।

 বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রের কথা বলে, তাদের দলেই গণতন্ত্র নেই। নির্বাচনের পর সরকার হঠানোর পরিকল্পনা নস্যাত হয়েছে তাদের। বিএনপির বেলুন ফিউজ হয়ে গেছে। যে কারণে এক রাতেই কলমের খোঁচায় নেতা-কর্মীর পদ-পদবী আলাদা হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের প্রতি তিন বছর পর পর সম্মেলন হয়। কলমের খোঁচায় কাউকে বাদ অথবা পদ দেওয়া হয় না।

 পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগকে ভাগ করেছিলেন। ভেবেছিলেন এ দলকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া যাবে। কিন্ত পারেননি তিনি। কারণ জনগণ সাথে ছিল আর হাল ধরেছেন শেখ হাসিনা। তিনি দ্বায়িত্ব গ্রহণ করার পর বঙ্গবন্ধুহীন দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বাবাহীন সংকটাপূর্ণ সংসারকে মায়ের মমতায় কর্মীদেরকে আগলে রেখেছেন তিনি। ২১ বছর ধরে আমাদের শুনতে হয়েছে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় যাবে না। তিনি পরপর চার বার দলকে ক্ষমতায় নিয়ে গেছেন।

 তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র বারবার হোঁচট খেয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তা পুনরুদ্ধার হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতার দল নয়, কর্মীদের দল। অন্য দলের সঙ্গে পার্থক্য হচ্ছে অভ্যন্তরীণ চর্চা আছে। বিএনপিসহ অন্য দলের যে যোগ্যতা নেই। এটাই আওয়ামী লীগের সৌন্দর্য। শেখ হাসিনা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আগলে রাখেন। যে কারণে সকল সংকটে তারা দলের পাশে থাকেন। যারা আওয়ামী লীগ থেকে সরেছে-তারা আজ রাজনীতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছেন। ৭৫ বছরের পথ চলায় দলটি নিশ্চিহ্ন করতে বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে। অনেকে দল ছেড়েছেন ও বেঈমানিও করেছেন; তারা রাজনীতি থেকে হারিয়েও গেছেন। এটাই রাজনীতির শিক্ষা।

 সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার পরিচালনায়, সংগঠনের সহসভাপতি ডা. অরুপ রতন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সহসভাপতি মোবারক আলী শিকদারসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন