নজরুল ইসলাম দয়া, বগুড়া

প্রকাশিত: ১৭ জুন, ২০২৪, ১১:১৮ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

একটু দাঁড়ান, কোরবানির মাংস এনেছি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঈদের দিন গাড়িতে মাংস নিয়ে ঘুরছিলেন ইউএনও হুমায়ুন কবির। গ্রামীণ রাস্তায় এবং বাজারে রিকশা-ভ্যান চালক ও দিনমজুর কাউকে দেখামাত্র গাড়ি থেমে যায়। দরিদ্র মানুষের হাতে কোরবানির মাংস তুলে দেন প্রশাসনের এই কর্মকর্তা। 

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার চার শতাধিক দরিদ্র পরিবারে জনপ্রতি কোরবানির মাংস নিজেই পৌঁছে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির। সঙ্গে ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোহান সরকার। 

সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন দুপুরে গ্রামীণ বাজারে রাস্তার পাশে রিকশা-ভ্যান চালকরা যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেখানে আকস্মিকভাবে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি থামতে দেখে তারা ভাবছিলেন ঈদের দিন রাস্তায় এসে অন্যায় হলো কিনা! রিকশা-ভ্যান চালকরা কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে স্থান ত্যাগ করার চেষ্টা করেন। 

প্রশাসনের ওই গাড়ি থেকে দুই ম্যাজিস্ট্রেট একসঙ্গে নামলেন। ইউএনও সবাইকে লক্ষ্য করে বললেন, একটু দাঁড়ান। আপনাদের জন্য কোরবানির মাংস এনেছি। এ কথা শুনেই দরিদ্র মানুষের মুখে অনিন্দ্য সুন্দর হাসি ফুটে ওঠে। দিনভর রিকশা-ভ্যান চালক, দিনমজুর ও দরিদ্রদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন ইউএনও। আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করা সবগুলো পরিবারও পেয়েছে কোরবানির মাংস। 

ঈদের দিন উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোছন, পৌরসভার ওমরপুর, বৈলগ্রাম ও নামুইট মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় দরিদ্র মানুষের খোঁজখবর নেন ইউএনও।

কোরবানির ঈদে কেউ যেন মাংস বঞ্চিত না থাকে সেদিকে খোঁজ রাখছেন। এছাড়া ঈদের আগেরদিন রোববার উপজেলার বর্শন আশ্রয়ণ, চাপিলাপাড়া, মথুরাপুর ও রায়পুর কুস্তা আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত পরিবারে মাংস বিতরণ করা হয়। মাংস হাতে পেয়ে দরিদ্র পরিবারে আনন্দাশ্রু বইতে দেখা গেছে। 

নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির বলেন, কোরবানির মাংস পৌঁছে দিয়ে দরিদ্রদের মুখে হাসি ফোটানোর মধ্য দিয়ে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করছেন। রিকশা-ভ্যান চালক, দিনমজুরসহ চার শতাধিক দরিদ্র মানুষের মাঝে মাংস বিতরণ করা হয়েছে। কোরবানির ঈদে কোনো দরিদ্র পরিবার যেন মাংস বঞ্চিত না থাকে, সে ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছেন। 

মন্তব্য করুন