রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৭ জুন, ২০২৪, ০২:১৬ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

সংসদে প্রধানমন্ত্রী

রাশিয়া-চীন-ভারত থেকে সমরাস্ত্র কিনছে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নকল্পে ফোর্সেস গোল-২০৩০-এর আলোকে রাশিয়া, চীন, তুরস্ক ও ভারতসহ সমরাস্ত্র শিল্পোন্নত বিভিন্ন দেশ থেকে সমরাস্ত্র কেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) হাবিবুর রহমানের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা জানান তিনি। সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাহিনীগুলোর গঠন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। বর্তমানে ফোর্সেস গোল-২০৩০-এর বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান। ফোর্সেস গোল-২০৩০-এর আলোকে সরকার রাশিয়া, চীন, তুরস্ক, ভারতসহ সমরাস্ত্র শিল্পোন্নত বিভিন্ন দেশ হতে সমরাস্ত্র ক্রয় কার্যক্রম চলমান, যা ভবিষ্যতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নের লক্ষ্যে এ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর জন্য যেসব উন্নত সরঞ্জামাদি ক্রয় করা হয়েছে এর মধ্যে রয়েছে, কাসা ইউটিলিটি বিমান, ডলফিন ইউরোকপ্টার, ডায়মন্ড প্রশিক্ষণ বিমান, এমবিটি-২০০০ ট্যাংক, ভিটি-ফাইভ লাইট ট্যাংক, আর্মার্ড রিকভারি ভেহিক্যাল, সেলফ প্রপেল্ড (এসপি) কামান, অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড উইপন, শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, মাইন-রেজিস্ট্যান্ট অ্যাম্বুশ প্রোটেক্টেড ভেহিক্যাল, আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল, সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম, আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার, রাডার কন্ট্রোল এয়ার ডিফেন্স গান সিস্টেম, নাইট ভিশন মনোকুলার, অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র, আধুনিক যোগাযোগ সরঞ্জামাদি উল্লেখযোগ্য।

তিনি বলেন, দেশের সমুদ্র নিরাপত্তা এবং সম্পদ রক্ষার বিষয়ে সরকারের প্রথম মেয়াদ থেকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অত্যাধুনিক সাবমেরিন, ক্যাসল ক্লাস জাহাজ, ফ্রিগেড, করভেট, সমুদ্র জরিপ জাহাজ, লার্জ প্যাট্রোল ক্রাফট, মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ার ক্রাফট এবং মেরিটাইম হেলিকপ্টারসহ অত্যাধুনিক নৌযুদ্ধ সরঞ্জাম বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একই সঙ্গে নৌবাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য ডাইভিং বোট, ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি, রিমোট কন্ট্রোল গান, আনম্যানড এয়ারক্রাফট সিস্টেম ইত্যাদিসহ বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি, নেটওয়ার্ক হাব স্টেশন, টেকটিকেল ফায়ারিং রেঞ্জ, লং রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স ও সার্ভিলেন্স রাডার, বিভিন্ন সরঞ্জাম ও অস্ত্র ক্রয় করা হয়েছে। এ ছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর জন্য আইএফএফ সেন্টার গঠনের প্রক্রিয়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন যুগোপযোগী কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জন্য এমআই জি-২৯, ইয়াক-১৩০ এবং এফ-৭ বিজি-১ যুদ্ধ বিমান, সি-১৩০ জে এবং কে-৮ বিমান, এমআই-১৭১ হেলিকপ্টারসহ অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় করা হয়েছে। এ সব আধুনিকায়নের ফলে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আজ একটি আধুনিক ও চৌকস বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।

মন্তব্য করুন