নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৬ মার্চ, ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

নওগাঁয় স্বাস্থ্য ঝুঁকি উপকরণ দিয়ে তৈরি করছে লাচ্ছা সেমাই

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে ভেজাল লাচ্ছা সেমাই তৈরির করছে বিভিন্ন উপজেলা সহ নওগাঁ সদর উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়নের তেতুলিয়া বাজারে নূর নেহা লাচ্ছা সেমাই কারখানা। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রং ও ঝুঁকিপূর্ণ উপকরণ দিয়ে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই। ভেজালবিরোধী অভিযান শিথিল হওয়ায় বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নাম্বার যেটা আছে (বিডিএস ১৬২০) সেই নাম্বার আবার নওগাঁ সদর উপজেলার মাসুদ রানা নামের এক ব্যক্তি নিজের লাকী লাচ্ছা সেমাই নামে ( বিডিএস ১৬২০) দাবী করেন।  এছাড়াও এই কারখানায় নেই কোন পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। এই কারখানায় নিম্নমানের পাম অয়েল ও ডালডা দিয়ে তৈরি করছে এসব সেমাই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে তৈরি করা সেমাই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে মন্তব্য চিকিৎসকদের। 

স্থানীয়রা বলছেন, ঈদ সামনে রেখে তেতুলিয়া বাজারে নুর নেহা ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে বিস্কুটের কাজ বন্ধ রেখে গড়ে তুলেছেন লাচ্ছা সেমাইয়ের কারখানা। মাঝেমধ্যেই ভ্রাম্যমান আদাল এসে লিখিত নিয়ে জরিমানা করেন। তারপরেও কারখানাটির মালিক মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক (ফারুক) ইসলামী আন্দোলন দলের নেতা হওয়ায় নিজের প্রভাব খাটিয়ে  অধিক মুনাফা পাওয়ার আশায় ভেজাল পন্য তৈরি করেন। 

তেতুলিয়া বাজারের স্থানীয় (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) এক দোকানদার বলেন, প্রশাসনের দুর্বলতার সুযোগে ও তদারকির অভাবে ভেজাল লাচ্ছা তৈরির করছেন ফারুক’ এই কারখানার  কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া উচিত তা না হলে এই ভেজাল লাচ্ছা সেমাই খেয়ে শিশু বৃদ্ধসহ সকলেই অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।

এবিষয়ে কারখানাটির মালিক মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক (ফারুক) এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি নিজেকে ইসলামী আন্দোলনের নেতা পরিচয় দিয়ে বলেন, আমার কারখানায় মাঝেমধ্যেই ভ্রাম্যমান আদালত আসে তারা এসে দুই থেকে চার হাজার টাকা জরিমানা করে চলে যায় আমার কিছুই করতে পারে না। আমি কিভাবে ব্যবসা করছি এটা আমার বিষয় আপনাদের সমস্যা কি আপনারা থাকেন আমার লোকজন যাচ্ছে আপনার কি করতে আমার কারখানায় আসছেন সেটা আমি দেখছি।

জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রুবেল আহমেদ জানান, পচা ডিম, অ্যানিমেল চর্বি এবং কৃত্রিম ঘি ও সুগন্ধি মিশ্রিত সেমাই তৈরি যাতে না হয়, সে জন্য কারখানাগুলোতে নজরদারি রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়ে এসব ভেজাল কারখানায় নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে এবং আমরা এই বিষয়ে জেনেছি ব্যবস্থা নিব।

মন্তব্য করুন