রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৪ জুন, ২০২৪, ০৭:০০ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

পার্বত্য চট্টগ্রামে তুলা চাষের সম্ভাবনা নিয়ে সেমিনার

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

সোমবার রাঙামাটিতে আয়োজিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে তুলাচাষ বৃদ্ধি ও কৃষকদের দারিদ্র্য বিমোচন’ শীর্ষক প্রকল্পের দিনব্যাপী এক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, পার্বত্য এলাকায় ব্যাপকহারে তুলা উৎপাদনে চাষীদের মনযোগী হতে হবে। এ লক্ষ্যে কৃষকসহ সংশ্লিষ্ট সাবইকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের রাঙামাটির প্রধান কার্যালয়ের ‘কর্ণফুলী’ সম্মেলন কক্ষে প্রকল্প পরিচালক ও উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (অর্থ) মো. জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন এ বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা। এছাড়া বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হারুন-অর রশীদ, খাগড়াছড়ির প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মোজাফফর হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙামাটির উপপরিচালক মো. নাসিম হায়দারসহ সেমিনারে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আলোচনায় অংশ নেন।

সেমিনারে জানানো হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে কৃষকদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করতে তুলা চাষের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা নিয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্পে ইতোমধ্যে কাক্সিক্ষত সাফল্য অর্জন হয়েছে। বাজারজাতের সমস্যা থেকে মুক্ত রাখতে চাষীদের কাছ থেকে তাদের উৎপাদিত তুলা ন্যায্যমূল্যে সংগ্রহ করছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ। প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে গৃহীত প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে ২০২১-২২ অর্থবছর। এর মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালে।

সেমিনারে উপস্থিত খাগড়াছড়ি জেলার তুলা চাষী কর্মচান ত্রিপুরা বলেন, তিনি প্রথমে এক বিঘা জমিতে তুলা চাষ করে ষোল মণ তুলা উৎপাদন করেছেন। চাষাবাদে বীজ সরবরাহ, সার প্রয়োগ ও কীটনাশক ব্যবহারসহ প্রয়োজনীয় সবক্ষেত্রে সহায়তা করছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। তার লাভজনক তুলা চাষাবাদ দেখে বর্তমানে অনেকে তামাক চাষ ছেড়ে তুলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

বান্দরবান জেলার তুলা চাষী উথোয়াইনু মারমা বলেন, তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় ২০ শতক জমিতে তুলা চাষ করে ৭ মণ তুলা উৎপাদন করেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা চাষীদের উদ্দেশে বলেন, তুলা স্বল্প মেয়াদি ফসল। যার ফলন ৬ মাসেই পাওয়া যায়। আমরা এতে কেবল সহায়তা দিচ্ছি। নিজেদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কৃষকদের। তাই নিজেদের অর্থনৈতিক উপার্জনে তাদেরকে তুলা উৎপাদনে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যেতে হবে।

মন্তব্য করুন