রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৪ জুন, ২০২৪, ০৪:৪৩ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

জল্লাদ শাহজাহান আর নেই

‘জল্লাদ’ শাহজাহান ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামিসহ ৬০ জনের ফাঁসি কার্যকর করা আলোচিত ‘জল্লাদ’ শাহজাহান ভূঁইয়া আর নেই।

সোমবার (২৪ জুন) ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ডিএমপির তেজগাঁও জোনের শের-এ-বাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মশিউর আজম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মশিউর আজম বলেন, ‘সাভারের হেমায়েতপুরের জাদুরচর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন শাহজাহান। রোববার রাত সাড়ে ৩টার দিকে বুকে ব্যথা শুরু হলে তাকে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।’

জানা গেছে, সোমবার ভোর ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়। তার বোন ফিরোজা হাসপাতালে মরদেহ গ্রহণ করেন। আইনগত কার্যক্রম শেষে শাহজাহানের মরদেহ নরসিংদির পলাশ উপজেলার ইছাখালী গ্রামে দাফন করা হবে।

এর আগে ৩৬ মামলার আসামি জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া ৩২ বছর কারাভোগের পর গত বছরের ১৮ জুন মুক্তি পান। সাজার মেয়াদ কমানোর বাসনায় একের পর এক অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে কয়েদি থেকে জল্লাদ বনে যান শাহজাহান।

প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর ৩৬টি মামলায় শাহজাহানের ১৪৩ বছরের সাজা হয়। পরে ৮৭ বছরের সাজা মাফ করে তাকে ৫৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ফাঁসি কার্যকর ও সশ্রম কারাদণ্ডের সুবিধার কারণে সেই সাজা ৪৩ বছরে এসে নামে। দুটি মামলায়পাঁচ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাস করে অতিরিক্ত এক বছর জেল খেটে ৩২ বছর পর ১৮ জুন মুক্ত আকাশে শ্বাস ফেলার সুযোগ পাবেন জল্লাদ শাহজাহান।

সহযোগী জল্লাদ হিসেবে গফরগাঁওয়ের নূরুল ইসলামকে ফাঁসি দিয়ে শাহজাহান তার জল্লাদ জীবনের সূচনা করেন। এরপর কারাগারে কারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময় আসলেই ডাক পড়তো তার। টানা আট বছর এই কাজ করার পর কারা কর্তৃপক্ষ তাকে প্রধান জল্লাদের স্বীকৃতি দেন।

 

মন্তব্য করুন