আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭ মে, ২০২৪, ০৫:৫৮ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

নেপালে ভারতের ২ ব্র্যান্ডের মসলা বিক্রি নিষিদ্ধ

ছবি: সংগৃহীত

সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের পর এবার ভারতের দুই ব্র্যান্ডের মসলা বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে নেপাল। ‘এভারেস্ট’ এবং ‘এমডিএইচ’ ব্র্যান্ডের পণ্যগুলোতে ক্ষতিকারক রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

ইন্ডিয়া টুডের খবরের বরাতে বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ওই দুই ব্র্যান্ডের মসলায় ইথিলিন অক্সাইডের মাত্রা যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা করা শুরু করেছে নেপালের খাদ্য প্রযুক্তি ও গুণমান নিয়ন্ত্রণ বিভাগ। এই উপাদানটি মানবদেহে ক্যানসার সৃষ্টি করে।

নেপালের খাদ্য প্রযুক্তির মুখপাত্র মোহন কৃষ্ণ মহারজান এএনআইকে বলেন, এভারেস্ট ও এমডিএইচ ব্র্যান্ডের মসলা আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা এগুলো বাজারে বিক্রিও নিষিদ্ধ করেছি। মসলায় ক্ষতিকারক রাসায়নিকের উপস্থিতির খবরের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই দুটি বিশেষ ব্র্যান্ডের মসলায় রাসায়নিকের উপস্থিতি যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা চলছে। চূড়ান্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

এভারেস্ট ও এমডিএইচ ব্র্যান্ডের মসলা কয়েক দশক ধরেই ভারতের গৃহস্থালি পণ্য হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। এমনকি এগুলো মধ্যপ্রাচ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশে রপ্তানিও করা হয়। নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াতেও এই দুই ব্র্যান্ডের মশলাগুলো নিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

নিউজিল্যান্ডের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রকের ভারপ্রাপ্ত উপ-মহাপরিচালক জেনি বিশপ রয়টার্সকে বলেন, ইথিলিন অক্সাইড এমন একটি রাসায়নিক যা মানবদেহে ক্যানসার সৃষ্টি করে। খাদ্য জীবাণুমুক্ত করার কাজে এই রাসায়নিকের ব্যবহার নিউজিল্যান্ড ও অন্যান্য দেশে পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা হয়েছে। যেহেতু এমডিএইচ এবং এভারেস্ট ব্র্যান্ডের মসলা নিউজিল্যান্ডে পাওয়া যায় তাই আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি।

গত এপ্রিলে হংকং খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থা দুটি ব্র্যান্ডের চারটি মমলা পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এরপর সিঙ্গাপুরের ফুড এজেন্সিও (এসএফএ) ইথিলিন অক্সাইডের মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার কারণে এভারেস্টের ফিশ কারি মাসালা প্রত্যাহার করে।

ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) ইতোমধ্যে এমডিএইচ ও এভারেস্টের পণ্যের গুণমান পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে৷ প্রতিষ্ঠানটি হংকং ও সিঙ্গাপুরের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রকদের কাছ থেকেও বিস্তারিত জানতে চেয়েছে।

মন্তব্য করুন