রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩ মে, ২০২৪, ০৫:৫৫ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

এমপি আনার হত্যাকাণ্ড

দেহের হাড়-মাংস আলাদা করে মেশানো হয় হলুদের গুঁড়ো

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। হত্যার পর তার মরদেহ কীভাবে ফেলে দেওয়া হয়- সে তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে ডিবিপ্রধান জানান, ভারতের কলকাতায় এক বাসায় আনোয়ারুল আজীমকে হত্যার পর শরীর খণ্ড খণ্ড করা হয়। এরপর হাড় ও মাংস আলাদা করে হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে সেগুলো ব্যাগে ভরা হয়। পরে পরে সুজগ বুঝে ব্যাগগুলো ওই বাসা থেকে বের করা হয়। তবে কোথায় মরদেহের টুকরোগুলো ফেলা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিবিপ্রধান।

তিনি বলেন, দুই থেকে তিন মাস আগেই এমপি আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। তারা পরিকল্পনা করেছিলেন ঢাকায় হত্যা করবেন। তিনি জানান, মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামানের দুই বাসার মধ্যে একটি গুলশানে, অন্যটি বসুন্ধরায়। এ দুই বাসায়ই হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

আনার হত্যার নেপথ্যে রাজনীতি বা অন্য যে কারণই থাকুক না কেন বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু হত্যাকারীরা পারেননি। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা কলকাতায় গত ২৫ এপ্রিল একটি বাসা ভাড়া নেন। তারা ৩০ এপ্রিল ওই বাসায় ওঠেন। যিনি হত্যার পরিকল্পনা করেছেন তিনি ও আরেকজনসহ মোট তিনজন বিমানযোগে কলকাতার ভাড়া বাসায় ওঠেন।

তারা দুই মাস ধরে খেয়াল রাখছেন কখন আনারকে কলকাতা আনা যাবো। ১২ মে আনার বন্ধু গোপালের বাসায় যান। সেখানে আরও দুজনকে হায়ার করা হয়। তারা ওই বাসায় আসা-যাওয়া করবেন। তারা হলেন জিহাদ বা জাহিদ ও সিয়াম। মাস্টারমাইন্ড গাড়ি ঠিক করেন। কাকে কত টাকা দিতে হবে, কারা কারা হত্যায় থাকবেন, কার দায়িত্ব কী হবে তা ঠিক করেন।

মন্তব্য করুন