বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনাসহ পৃথক ঘটনায় নিহত ৫

বগুড়ার কাহালুতে বাসের ধাক্কায় নারীসহ দুইজন, দুপচাঁচিয়ায় শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে জামাই, গাবতলী উপজেলায় বিদ্যুৎস্পর্শে একজন ও নিখোঁজের একদিন পর পুকুর থেকে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে করতোয়া নদীর পাড় থেকে এক নারীর দুই হাতের কাটা কবজি উদ্ধার করছে পুলিশ।

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতরা গাবতলী উপজেলার উনচুরখী গ্রামের জাহিদুর রহমানের স্ত্রী রতনা বেগম (৩৫), কাহালু উপজেলার বিবিরপুকুর লোহাজাল গ্রামের খোদা বক্সের ছেলে সৈকত আহমেদ টুনু (২২), শশুর বাড়িতে এসে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার সান্তনা গুরকি এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে রাশেদ হাসান (২৮), বিদ্যুৎস্পর্শে গাবতলীর সোনারায় আকন্দ পাড়ার বুলু আকন্দের ছেলে জিল্লুর রহমান (৪০) ও পুকুরে ভাসমান অবস্থায় গাবতলী উপজেলার দক্ষিনপাড়া ইউনিয়নের নাংলু মধ্যপাড়ার মৃত আজিম উদ্দিন পোদ্দারের ছেলে হাফিজার পোদ্দার (৬৫)।

রোববার (২৩ জুন) সকালে কাহালু উপজেলার বিবিরপুকুর বাজার এলাকার বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কে বেপরোয়া গতির বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই নারীসহ দুইজনের মৃত্যু হয়। নিহত রতনা ঈদের পর বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন এবং গরুর দুধ বিক্রি করতে বাজারে যায় সৈকত। রতনা এবং সৈকতের বাড়ি একই গ্রামে হওয়ায় মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে দু’জন কথা বলছিলেন। এ সময় বেপরোয়া গতির অজ্ঞাত ঢাকাগামী বাস তাদেরকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়।

কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, পুলিশ যাওয়ার আগেই পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ নিয়ে বাড়িতে গেছেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে শনিবার দুপচাঁচিয়া উপজেলার হাপুনিয়া গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হন রাশেদ। পরিবারের লোকজন তাকে দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। একইদিন গাবতলী উপজেলার দক্ষিনপাড়া ইউনিয়নের নাংলু মধ্যপাড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ হাফিজার পোদ্দারের লাশ উদ্ধার করা হয়। আগেরদিন শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে বাড়ি থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এদিন গাবতলী উপজেলার সোনারায় আকন্দ পাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে ঢালাইয়ের কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পর্শে মারা যান জিল্লুর রহমান।

এছাড়া শনিবার বগুড়া শহরের মাটিডালির করতোয়া নদীর পাড় থেকে এক নারীর দুই হাতের কাটা কবজি উদ্ধার করে পুলিশ। ২য় বাইপাস সড়কের ব্রীজ ও লোহার ব্রীজের মাঝামাঝি এলাকায় একটি পলিথিনের মধ্যে হাতের কাটা কবজি দুটি ভেসে যেতে দেখেন স্থানীয়রা।

ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. রেদওয়ানুল ইসলাম জানান, দুটি কাটা কবজি উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুর্বৃত্তরা অজ্ঞাত নারীর হাতের কবজি দুটি কেটে নদীতে ফেলে দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কার হাতের কবজি তা সনাক্তের জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়া হয়েছে।