রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১ জুলাই, ২০২৪, ১২:৫১ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

মেট্রোরেলের টিকিটে বসছে ভ্যাট

ছবি: সংগৃহীত

আজ থেকে মেট্রোরেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে-সরকারের বিশেষ আদেশে মেট্রোরেলের ভাড়ায় যে ভ্যাট অব্যাহতি ছিল, তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে অর্থবছরের শেষ দিন  রোববার (৩০ জুন)।

 আজ সোমবার (১ জুলাই) নতুন অর্থবছরের প্রথম দিন থেকে ভ্যাট অব্যাহতি না থাকায় মেট্রোরেলের সেবা ও টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে বলে জানিয়েছেন এনবিআরের প্রথম সচিব (মূসক নীতি) মোহাম্মদ হাসমত আলী। 

তিনি বলেন, যেহেতু এখনও এনবিআর থেকে কোনো বিশেষ আদেশ দেওয়া হয়নি, সুতরাং আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল থেকে মেট্রোরেলে মূসক আরোপিত হবে।

এদিকে মেট্রোরেলের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা তাদের (এনবিআর) উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছি... যদি ভাড়ার ওপর ভ্যাট আরোপ করতে হয়ও, আমাদের কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ডিএমটিসিএল কর্মকর্তা বলেন, ডিএমটিসিএল ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত নিলেও তারা পূর্ব ঘোষণা না দিয়ে মেট্রোরেলের ভাড়া বাড়াবে না।

অপরদিকে ভ্যাট আরোপ হলে ২০ টাকার ভাড়া হবে ২৩ টাকা, ৩০ টাকার ভাড়া ৩৪ টাকা ৫০ পয়সা, ৪০ টাকার ভাড়া ৪৬ টাকা, ৫০ টাকার ভাড়া হবে ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা, ৬০ টাকার ভাড়া হবে ৬৯ টাকা, ৭০ টাকার ভাড়া হবে ৮০ টাকা ৫০ পয়সা, ৮০ টাকার ভাড়া হবে ৯২ টাকা, ৯০ টাকার ভাড়া হবে ১০৩ টাকা ৫০ পয়সা, ১০০ টাকার ভাড়া হবে ১১৫ টাকা।

যাদের এমআরটি পাস আছে, তাদের কাছ থেকে স্বয়ংক্রিয় উপায়ে টাকা টাকা হবে বলে বাড়তি আদায় নিয়ে কোনো জটিলতা হবে না, কিন্তু যারা একক যাত্রার টিকিট কাটবেন, তাদের ক্ষেত্রে হবে জটিলতা।

একক যাত্রার টিকিট নিতে হয় কাউন্টারে অথবা টিকিট ভেন্ডিং মেশিন থেকে। টিকিটের চেয়ে বেশি টাকা মেশিনে দেওয়া হলে সেই টাকা ফেরত পেতেন যাত্রীরা। ১০ টাকার নিচে কোনো নোট এই মেশিন থেকে আজ পর্যন্ত বের হয়নি।

এখন কোনো যাত্রীকে যদি ২৩ টাকা পরিশোধ করতে হয়, তাহলে তাকে একটি এক টাকা এবং একটি দুই টাকা দিতে হবে। কিন্তু মেশিনে টাকা দেওয়া যায় একবারে। তিনি যদি ৫০ টাকার নোট দেন, তাহলে মেশিন থেকে বের হবে ২৭ টাকা। মেশিন থেকে একটি ৫ টাকা ও একটি ২ টাকা বের হতে হবে।

প্রশ্ন হল এই এক টাকা, দুই টাকা ও ৫ টাকার এত নোট বাজারে আছে কি না। এখন ৫ টাকার নোটই দেখা যায় না, বাস ভাড়াও এখন ১০ টাকা, ১৫ টাকা ২০ টাকা- এভাবে নেওয়া হয়।

খুচরা বাজারেও এখন পণ্যের দাম ১২ টাকা বা ১৩ টাকা বা ১৭ টাকা বা ১৮ টাকা- এভাবে হয় না, ১০ টাকা, ১৫ টাকা, ২০ টাকা বা ২৫ টাকা-এভাবে নির্ধারণ হয়। এর কারণ, এক ও দুই টাকার নোট আর সহজলভ্যই না।

খুচরা টাকার এই সমস্যার সমাধান কীভাবে হবে, ৫০ পয়সার হিসাবের ক্ষেত্রে কী হবে, এসব বিষয়েও এম এ এন ছিদ্দিকের কাছ থেকে কোনো জবাব মেলেনি।

মন্তব্য করুন