এসএম শাফায়েত, ইউএই

প্রকাশিত: ২২ মে, ২০২৪, ০৭:৫২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

আমিরাতের সঙ্গে ‘পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট’ করবে বাংলাদেশ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর বলেছেন, ‘আরব আমিরাতের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। আমাদের এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আগামী বছর থেকে পার্টনারশিপ পর্যায়ে উন্নীত করতে যাচ্ছি। আগামী জুলাই মাস থেকে এ দেশের সঙ্গে আমাদের পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্টের কার্যক্রম শুরু হবে।’

মঙ্গলবার রাতে রাজধানী আবুধাবির ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশের ৫৪ তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং বাংলাদেশ-ইউএই কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় তিনি দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের দীর্ঘদিনের সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আরব আমিরাত সফর করেন। সে সময় আমিরাতি জাতীর জনক শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। তখন এই দুই দেশের প্রতিষ্ঠাতা তথা দুই জাতিরজনক এক বন্ধুপ্রতিম কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। যার ফল আমরা আজ ভোগ করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আরব আমিরাতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বহুস্তর বিশিষ্ট। বিশেষ করে, এই দেশের সঙ্গে আমাদের শিক্ষা, সাংস্কৃতি, প্রযুক্তি, বাণিজ্য, অর্থনীতি ও কূটনৈতিক সম্পর্ক অন্যতম। আমাদের রাজনৈতিক ভাবেও সুসম্পর্ক রয়েছে। আমাদের এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আগামী বছর থেকে পার্টনারশিপ পর্যায়ে উন্নীত করতে যাচ্ছি। আগামী জুলাই মাস থেকে এ দেশের সঙ্গে আমাদের পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্টের কার্যক্রম শুরু হবে।’  

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফরের আমন্ত্রণে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সুলতান আল শামসি। এছাড়াও আবুধাবীস্থ বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এবং দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিসহ শতাধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন দেশের ৮৫ জন কূটনীতিক এতে অংশ নিয়েছেন বলেও দূতাবাস সূত্রে জানা যায়।  

উভয় দেশের শিল্পীদের পৃথক পরিবেশনায় দুই দেশের জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয় মূল আয়োজন। এরপর স্বাগত বক্তব্য দেন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর।

পরে বাংলাদেশ ও আরব আমিরাতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরের ডকুমেন্টরি প্রদর্শন করা হয়। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয় আয়োজন।     

মন্তব্য করুন