রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২ জুন, ২০২৪, ০৯:২২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

ছাগলকাণ্ডে; মা-ভাইকে নিয়ে দেশ ছাড়লেন ইফাত

ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে আলোচিত ছাগলকাণ্ডে এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে ইফাত তার মা শাম্মী আক্তার ও ছোট ভাই ইরফানকে নিয়ে দেশ ছেড়েছেন। সূত্রমতে বর্তমানে মালয়েশিয়ায় চলে গেলেও সেখান থেকে কানাডা বা অন্য কোনো চলে যেতে পারে ইফাত ও মা এবং ছোট ভাই।

জানা গেছে, সামাজিক ও গণমাধ্যমে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা, পিতৃপরিচয় অস্বীকারের পারিবারিক টানাপোড়েনের মধ্যে গত বুধবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর হয়ে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে মা-ভাইকে নিয়ে দেশ ছাড়েন ইফাত।

১৫ লাখ টাকায় একটি কোরবানির ছাগল বিক্রি নিয়ে নাম আসে ইফাত নামের এক তরুণের। ১৫ লাখ টাকার সে ছাগল ১২ লাখ টাকায় কেনা ইফাত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলীর ছেলে। প্রশ্ন উঠে একজন রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলে কীভাবে এত টাকা দিয়ে ছাগল কিনতে পারেন।

দেশজুড়ে যখন এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে মুশফিকুর রহমান ইফাতকে নিজের ছেলে নয় বলে দাবি করেন এনবিআরের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিল ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট ড. মো. মতিউর রহমান। যা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই সংবাদের শিরোনাম হচ্ছেন ইফাত ও মতিউর রহমান। এসব আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে মা শাম্মী আখতার শিভলী ও ভাই ইরফানকে নিয়ে দেশত্যাগ করেছেন ইফাত।

সূত্র জানায়, ছাগলকাণ্ড সামনে আসতেই নিজেকে বিতর্কিতমুক্ত রাখতে প্রথমপক্ষের স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকীর সঙ্গে আলোচনা করে পারিবারিক ড্রামা সাজান মতিউর। মিডিয়ার সামনে দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান মুশফিকুর রহমান ইফাতের সঙ্গে তার সম্পর্ক অস্বীকার করেন। এতে বাঁধে জট। বাবার অস্বীকৃতি পারিবারিক টানাপোড়েন চরমে ওঠে। সন্তান ইফাত রাগ-অভিমানে চেষ্টা চালান আত্মহননের।

এক পর্যায়ে পরিবারের সম্মিলিত সিদ্ধান্তেই দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রী শাম্মী আখতার শিভলী, ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত ও ইরফান দেশত্যাগ করে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। গত বুধবার চট্টগ্রাম হয়ে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে দেশত্যাগ করেন তারা।

ঈদুল আজহার আগে কলেজপড়ুয়া ইফাতের ১ লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে ১২ লাখ টাকা দামের ছাগল কেনার জন্য বুকিং, ৫২ লাখ টাকা দামের গরু কেনা এবং দামি গাড়ি ব্যবহার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এ নিয়ে তীব্র আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ইফাতকে ছেলে হিসেবে অস্বীকার করেন মতিউর রহমান। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে তাদের আসল পরিচয় বেরিয়ে আসতে সময় লাগেনি। এরইমধ্যে বেরিয়ে আসে মতিউর রহমানের হাজার কোটি টাকার সম্পদের হিসাব। দেশীয় একটি কোম্পানীতেই তিনি ২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন এমন তথ্য উঠে আসে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে।

 

মন্তব্য করুন