আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২ জুলাই, ২০২৪, ০৫:৩০ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

বাইডেন মানসিকভাবে অনুপযুক্ত নয় ৭২ শতাংশ আমেরিকানের ধারণা

জো বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকার ৭২ শতাংশ নিবন্ধিত ভোটার বিশ্বাস করেন, বর্তমান প্রেসিডের্ট জো বাইডেন আরও এক মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য মানসিকভাবে উপযুক্ত না। রবিবার প্রকাশিত একটি জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।

গত বৃহস্পতিবার প্রথম নির্বাচনি বিতর্কে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হারের পর বাইডেন মানসিকভাবে উপযুক্ত কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে মার্কিনিদের মধ্যে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে আরও একটি মেয়াদে দেশ পরিচালনার জন্য বাইডেন মানসিকভাবে উপযুক্ত কী না, সেই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে।

সিবিএস নিউজ ও ব্রিটিশ গবেষণা সংস্থা ইউগভের পরিচালিত জরিপে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে প্রায় ৭২ শতাংশই মনে করেন যে, আরও একটি মেয়াদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করার মতো মানসিক সুস্থতা বাইডেনের নেই। এছাড়া ৪৫ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বিশ্বাস করেন, স্বাস্থ্যের উদ্বেগের কারণে বাইডেনে উচিৎ প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে দলের অন্য কাউকে সুযোগ করে দেওয়া।

এর আগের একটি জরিপে ৬৫ শতাংশ ভোটার একই কথা বলেছিলেন। বৃহস্পতিবারের নির্বাচনি বিতর্কের পর সেই সংখ্যা আরও বেড়েছে বলে আভাস মিলেছে জরিপে।

অন্যদিকে অনেক মার্কিন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও তারা পুরোপুরি উপযুক্ত মনে করেন না।

জরিপে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের জন্য মানসিকভাবে সুস্থ্য কি না জিজ্ঞাসা করা হলে, ৫০ শতাংশ ট্রাম্পের পক্ষে এবং ৪৯ শতাংশ বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দু’জন প্রার্থী- বাইডেন ও ট্রাম্প বেশ বয়স্ক। জো বাইডেনের বয়স এখন ৮১ বছর, আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৭৮ বছর। ফলে তাদের বয়স নিয়ে ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ বেশ আগে থেকেও লক্ষ্য করা যাচ্ছিলো। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবারের ঘটনা বিষয়টিকে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের আয়োজিত টেলিভিশন বিতর্কে বাইডেন প্রায়ই কথার খেই হারিয়ে ফেলছিলেন এবং তাকে খুব একটা আত্মবিশ্বাসীও দেখাচ্ছিলো না। মূলত এই ঘটনার পরেই তার দলের সমর্থকদের মধ্যেই অনেকে বাইডেনের বয়স নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।

তবে বাইডেনের এই দুঃসময়ে পাশে রয়েছেন তার পরিবার ও মিত্ররা। নির্বাচনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য বাইডেনকে তারা উৎসাহও দিচ্ছেন। তবে শেষপর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন কী না, সে সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট বাইডেন নিজেই নিবেন।

মন্তব্য করুন