এনামুল হক

প্রকাশিত: ২০ জুন, ২০২৪, ০৮:৩৪ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বাড্ডায় অটোরিকশা ঘিরে প্রভাবশালী চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বাড্ডা এবং আফতাবনগর জুড়ে গড়ে উঠেছে অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা ঘিরে একটি শক্তিশালী চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট।প্রভাবশালী কয়েকজন গ্যারেজ মালিক ও ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কয়েকজন নেতার আশ্রয় প্রশ্রয়ে, কথিত লাইনম্যানের মাধ্যমে অসহায় রিকশা চালকদের কাছ থেকে দিনের পর দিন আদায় করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের চাঁদা।

কিছুদিন আগে বাড্ডার কয়েকজন প্রভাবশালী গ্যারেজ মালিককে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরবর্তীতে তারা জামিনে এসে আবার চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে আরো কয়েকজন গ্যারেজ  মালিকের নাম পাওয়া যায়, যারা এই রিকশা চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। তারা সবাই বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও ক্ষমতাশীল দলের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার পরিচয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে।

বাড্ডার কয়েকটি পয়েন্টে চলে কথিত লাইনম্যানের মাধ্যমে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায়। আবার কোথাও কোথাও বিকল্প কৌশল অবলম্বন করে আদায় করা হচ্ছে চাঁদা। রিকশা সিন্ডিকেটের চাঁদাবাজির অন্যতম একটি পয়েন্ট হল গুলশান পুলিশ প্লাজার পেছনে। সেলিম ও বাচ্চু নামের কথিত দুই লাইনম্যান প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত আদায় করে চাঁদার টাকা। প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে ১০টাকা করে ২বারে মোট ২০টাকা দিতে হয় প্রতিটি রিকশাকে।

এ ছাড়া আফতাব নগরেই রয়েছে ২৫/৩০টি রিক্সার গ্যারেজ। যাতে রয়েছে প্রায় ২ হাজার ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা। এখানে চাঁদা আদায়ে একটি অভিনব কৌশল অবলম্বন করা হয়।প্রতিটি রিকশাকে ভাড়া জমা দেয়ার সময় অতিরিক্ত ১০ টাকা করে বাড়িয়ে দিতে হয়,কারণ হিসাবে দেখানো হয় লাইনম্যানদের হাজিরা খরচ। আফতাবনগরের এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতা তপন, আলী, ইলিয়াস ও পলাশ।

মূলত: এরা এতোই বেপরোয়া যে, সামান্যতম নিয়ম-রীতিরও তোয়াক্কা করে না। এদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে স্থানীয় পুলিশের কিছু অসাধু সদস্য। ফলে, নিজেদের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে মনে করে চক্রটি। এদের দাপটে দরিদ্র রিকশা চালকরা রীতিমত অসহায়। মুখ বুজে সহ্য করছে এদের নির্যাতন।

কয়েকজন রিকশাচালক এ প্রতিবেদকের কাছে তাদের অসহায়ত্বের কথা জানিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এভাবে চাঁদা দিতে হলে আমরা খাবো কী!’

মন্তব্য করুন