রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩০ জুন, ২০২৪, ০৯:০৫ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকি, তদন্তে ডিবি

ছবি: সংগৃহীত

অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী মহল হত্যার জন্য টিম নিয়ে মাঠে নেমেছে জেনে থানায় জিডি করেছেন জনপ্রিয় সংসদ সদস্য (এমপি) ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এঘটনায় তদন্তে মাঠে নেমেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)। গত শনিবার রাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন ব্যারিস্টার সুমন।

আজ রোববার রাতে ডিএমপির শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আহাদ আলী রূপালী বাংলাদেশকে জানান, সংসদ সদস্য (এমপি) ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের জিডির পরপরই প্রাথমিক তদন্ত করা হয়। তবে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে ডিএমপির ডিবি তেজগাঁও জোনের কর্মকর্তা এসি নিউটন স্যার এটির তদন্ত সামলাচ্ছেন।

ব্যারিস্টার সুমন উল্লেখ করেছেন, গত ২৭ জুন ঢাকায় অবস্থানকালে রাত আনুমানিক ২টার সময় আমার নির্বাচনী এলাকার চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার সরকারীর মোবাইল থেকে আমার হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে জানান যে, ‘আপনাকে হত্যার জন্য অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী মহল গত তিন দিন আগে ৪-৫ জনের একটি টিম নিয়ে মাঠে নেমেছে। আপনি রাতে বাইরে বের হবেন না এবং সাবধানে থাকবেন। তখন আমি ওসির কাছে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি ওই ব্যক্তির পরিচয় জানাতে অস্বীকার করেন এবং আমাকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন। এই বিষয়টি জানার পরে আমি মারাত্মকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

ডিবি সূত্র জানিয়েছে, শেরেবাংলা নগর থানায় জিডির পরপরই তদন্ত শুরু হয়েছে। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে হত্যার হুমকির তথ্য কিভাবে এলো সে বিষয়ে যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। যারাই হত্যার হুমকি দেয়া বা টিম গঠন যারা করেছে তাদেরকে দ্রুত শনাক্ত করতে কাজ চালাচ্ছে।

সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন প্রসিকিউটর ছিলেন, এই পদ থেকে তিনি ২০১২ সালের ১৩ নভেম্বর পদত্যাগ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অসঙ্গতি তুলে ধরার পাশাপাশি মানবিক কাজ করে জনপ্রিয়তা পান ব্যারিস্টার সুমন। সেই সাথে দেশের প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে আইনী লড়াইয়ে নামেন সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী।

একপর্যায়ে যুবলীগের কেন্দ্রীয় আইন সম্পাদকের পদ পান ব্যারিস্টার সুমন। তবে পরবর্তীতে তাকে এই পদ থেকে অব্যহতি দেয়া হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন ব্যারিস্টার সুমন।

 

মন্তব্য করুন