শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২ জুন, ২০২৪, ১২:০১ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

শেরপুরে বিদ্যালয়ের মাঠে পশুর হাট

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়ার শেরপুরে বিদ্যালয়ের মাঠে পশুর হাট বসানো হয়েছে। বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছেন। কিন্তু ঠিক বাইরেই স্কুলের মাঠে চলছে পশুর হাট।

মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার জামাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। কিন্তু এই হাটের অনুমোদন দেওয়া বিষয়ে দায় নিচ্ছে না কেউ।

সরেজমিনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছর ঈদের আগে মঙ্গলবার ও শুক্রবার এই স্কুলের মাঠে পশুর হাট বসে। প্রতি হাটে প্রায় পাঁচশটি গরুছাগল বিক্রি হয়। আর এখান থেকে খাজনা আদায় করা হয় প্রায় দুই লক্ষ টাকা। কিন্তু এর জন্য নেই কোন সরকারি অনুমোদন।

স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় হাটের পরিচলক এই অর্থ আত্মসাৎ করেন বলে জানান এলাকাবাসী। উপরন্তু স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। আবার টিফিনের সময় তারা ঝুঁকিপূর্ণভাবে স্কুলের প্রাচীর টপকিয়ে যাতায়াত করেছে। 

স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসএম লুৎফার রহমান রুপালী বাংলাদেশ কে বলেন, স্কুল প্রাঙ্গণে পশুর হাটের বিষয়টি তিনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বিষয়ে অবগত আছেন। তবে হাট শেষে মাঠ পরিষ্কারের বিষয়ে নিশ্চিত করার জন্য তিনি প্রধান শিক্ষককে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন।

তবে এই দায় নিতে অস্বীকার করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসান। তিনি বলেন, স্কুলের মাঠে  পশুর হাটের অনুমোদন নেই। এর সকল দায়ভার প্রধান শিক্ষককে নিতে হবে। 

হাটের পরিচলক বাদশা আলমগীর বলেন, প্রতিবছর এই স্কুলের মাঠে কোরবানির পশুর হাট বসে। কোন অনুমোদনের প্রয়োজন হয়নি। তবে এবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করা হয়েছে।

বগুড়ার শেরপুরে বিদ্যালয়ের মাঠে পশুর হাটের অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন জিহাদী বলেন, এ বিষয়ে কোনো অনুমোদন নেই। স্কুলের মাঠে অবৈধ হাট বসিয়ে খাজনা আদায় করার অপরাধে পরিচালকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে। এছাড়াও যথাযথ অনুমোদন না থাকলে আগামী দিনেও হাট বসতে দেওয়া হবে না।

মন্তব্য করুন