সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২ মে, ২০২৪, ১০:৪৬ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

সারিয়াকান্দির চরাঞ্চলে কুরবানির দেশী গরু প্রস্তুত

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়া সারিয়াকান্দির যমুনা চরের প্রায় বাড়িতেই কুরবানির দেশী গরু প্রস্তুত করেছেন। প্রায় বাড়ীতেই রয়েছে ১০ থেকে ২৫ টি করে গরু। চরাঞ্চলের অনেক কৃষক ভাগ্য ফিরিয়েছেল গরু পালন করে।

সারিয়াকান্দির চরের কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের ফসলের পাশাপাশি ছাগল, গরু পালন করেন। এ চিত্র পুরো চরজুরেই। সরেজমিনে চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি বাড়ির আঙিনার গরুর গোড়ায় ৫ থেকে শুরু করে ৩০ টি পর্যন্ত গরু। আর এগুলো গরুর মধ্যে প্রতিটি পরিবারেই প্রস্তুত রয়েছে কুরবানির গরু।

কেউ কেউ গরুগুলো মোটাতাজা করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে গিয়ে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন। গরু পালনের ক্ষেত্রে বাড়ির নারীরাই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেন।

খুব সকালে গরুকে গোয়ালঘর থেকে বের করা, সকাল বিকাল দুইবেলা গরুকে খুদ গুরা ভূষি দিয়ে পানি খাওয়ানো, গোয়ালঘর থেকে গোবর বের করে তা পরিস্কার করা, দুপুরে গরুকে গোসল করানো এবং সারাদিন গরুকে ঘাস ও খর খাওয়ানোর কাজ বাড়ির নারীরাই করে থাকেন। চরাঞ্চলের পুরুষরা সারাদিন মাঠে ফসলের যত্ন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তবে ফসলের কাজের ফাঁকে তারা গরুর জন্য ঘাস কাটেন। সেই ঘাস তারা গরুকে সারাদিন খাওয়ান। চরাঞ্চলে গরু পালনে সাধারণত খুবই কম খরচ হয়। এখানে গরু পালনে ঘাস ক্রয় করার কোনও প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র কুঁড়া এবং খুদ ভূষি ক্রয় করলেই চলে। কেউ কেউ গরুকে দলবদ্ধভাবে যমুনাচরের বিস্তীর্ণ চারণভূমিতে নিয়ে আসেন। সেখানে সারাদিন গরু কাঁচাঘাস খেয়েই পেট ভরে ফেলে।

সরেজমিন উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া চরে দেখা যায়, সেখানে প্রতিটি বাড়িতেই কুরবানির জন্য দেশী গরু প্রস্তুত রয়েছে। এখানে গরুর মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সেখানে দেড় লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত কুরবানির ষাঁড় গরু প্রস্তুত রয়েছে। এ গ্রামের লিটন বেপারির স্ত্রী শিউলি বেগমের ১৪ টি গরুর মধ্যে ৫ টি গরু কুরবানির জন্য প্রস্তুত। এছাড়া সিদ্দিক বেপারির ছেলে তারেক মাহমুদের ৫ টি, লতিফুর রহমানের স্ত্রী শিউলি বেগমের ৭ টি, সিরাজ বেপারির ছেলে জহুরুল বেপারির ২০ টির মধ্যে ৯ টি গরু কুরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

জহির বেপারী জানান, কুরবানির জন্য এ গ্রামে তাদের ৫ ট্রাক গরু প্রস্তুত রয়েছে। যে গরুগুলো তারা চট্টগ্রাম বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। চালুয়াবাড়ী সুজালির পাড়া চরের রিপন মিয়া জানান, তার গোয়ালে ৫৫ টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে ১৫ টি ষাঁড় গরু কুরবানির জন্য প্রস্তুত।

সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শাহ আলম বলেন, এ উপজেলায় যেসব কুরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে ২১ হাজার ৭২৪ টি গরু, ৪০ হাজার ৯৯৩ টি ছাগল, ২৮৯৫ টি ভেড়া এবং ৮৮৬ টি মহিষ । তা উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে কয়েকগুণ বেশি পশু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হবে।

মন্তব্য করুন