ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭ জুন, ২০২৪, ১০:৪৬ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

সুপার এইট নিশ্চিত করল বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

দেশবাসীকে ঈদের আনন্দ আরো বাড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আজ সোমবার নেপালকে হারিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। ফলে 'ডি' গ্রুপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার পর সুপার এইটে গেল চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। 

সন্দ্বীপ লামিচানের দলকে ৮৫ রানে অলআউট করে দিয়ে ২১ রানে জয় পেয়েছে টাইগাররা।

১৯তম ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করেন মোস্তাফিজুর রহমান। মেডেনসহ শিকার করে উইকেট। শেষ ওভারে নেপালের দুই ব্যাটারকে আউট করে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন সাকিব আল হাসান।

সোমবার (১৭ জুন) ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংস্টনের সেন্ট ভিসেন্টের অ্যারনস ভেল গ্রাউন্ডে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ১০৬ রানের পুঁজি নিয়েও নেপালকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে টাইগাররা।  

নেপালের টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দেওয়ার নায়ক তানজিম সাকিব। ডানহাতি এই পেসারকে দিয়ে ৪ ওভারের টানা স্পেল করান বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তানজিমও তাকে হতাশ করেননি। ২ মেডেনসহ ৭ রান দিয়ে  তুলে নেন ৪ উইকেট। 

নেপালকে আটকাতে হলে শুরু থেকেই চাপ সৃষ্টি করতে হতো। যদিও প্রথম দুই ওভারে কোনো উইকেট পায়নি বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় ওভারে জোড়া আঘাত হানেন তানজিম হাসান সাকিব। দ্বিতীয় বলে কুশল ভুর্তলকে ফুলটস ডেলিভারিতে বোল্ড করেন ডানহাতি এই পেসার। তার চতুর্থ বলটি মিডঅফের ওপর দিয়ে পাঠাতে চেয়েছিলেন অনিল শাহ। কিন্তু ধরা পড়েন নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। ডাবল উইকেটের ওভারটি তানজিম শেষ করেন মেডেন দিয়ে।

চতুর্থ ওভারে অবশ্য খরুচে ছিলেন তাসকিন। ১১ রান খরচ করেন তিনি। তবে পঞ্চম ওভারে এসে নেপালের অধিনায়ক রোহিত পৌড়েলের উইকেট তুলে নেন তানজিম। তানজিমের বলে পয়েন্টে থাকা রিশাদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১ রান করা রোহিত।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আসিফ শেখকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। আর নিজের শেষ ওভারের শেষ বলে সন্দ্বীপ জরাকে শিকার করেন তানজিম। রোহিতের মতো সন্দ্বীপও ধরা পড়েন পয়েন্টে থাকা রিশাদের হাতে।

বিপর্যয়ে থাকা নেপালের এরপর হাল ধরেন কুশল মল্লা ও দীপেন্দ্র সিং ঐরী। মাটি কামড়ে পড়ে থেকে পঞ্চম উইকেটে ৫২ রানের জুটিও গড়ে ফেলেন তারা। সেই জুটি ভাঙে শান্তর হাতে এসে। ১৭তম ওভারে মোস্তাফিজের বলে মল্লার (২৭) দারুণ এক ক্যাচ নেন তিনি। পরের ওভারে গুলশান ঝাকে ফেরান তাসকিন।

এর আগে, সোমবার ভোরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংস্টনের সেন্ট ভিসেন্টের অ্যারনস ভেল গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।

পুরো ২০ ওভার খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। অলআউট হয়েছে ১৯.৩ ওভারে। শেষ মুহূর্তে ২টি বাউন্ডারি মেরে বাংলাদেশের স্কোর তিন অংকের ঘর পার করে দেন তাসকিন আহমেদ। ১৫ বলে তিনি  ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশ নেপালের সামনে খেই হারায় কি না, এই ভয়টাই পেয়েছিলো এ দেশের ক্রিকেট সমর্থকরা।  নেপাল যেভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছে, তাতে হয়তো বাংলাদেশও বিপদে পড়তে পারে- এমন শঙ্কা আগে থেকেই ছিল। 

সেন্ট ভিনসেন্টের অ্যারোনেস ভ্যালে স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তেমনটাই ঘটেছে বাংলাদেশ দলের ব্যাটারদের। নেপালি বোলিংয়েও যেন থরথর করে কাঁপছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ।

ইনিংসের প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে আউট হন আরেক ওপেনার লিটন কুমার দাস।

ষষ্ঠ ওভারে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তরুণ তারকা ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়।

৫.৫ ওভারে মাত্র ৩০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কঠিন চাপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। দলকে খেলায় ফেরাতে চেষ্টা করেছেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু তাও হয়ে ওঠে নি। একের পর এক উইকেট হারিয়ে দারুণ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। সেই বিপর্যয় থেকে শেষ পর্যন্ত আর বের হতে পারেনি বাংলাদেশ। ১০৬ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস।

মন্তব্য করুন