বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল, ২০২৪, ০৬:২৪ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

ইউএনও বদলির আগেই সিসি ক্যামেরা উধাও, রহস্যজনক চুরি

ছবি সংগৃহীত

বদলির আদেশপ্রাপ্ত ইউএনওর শেষ কর্ম দিবসের আগের দিন অফিস থেকে সিসি ক্যামেরা, হার্ডডিস্কসহ কম্পিউটার ও ল্যাপটপ চুরির ঘটনা ঘটেছে। বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কার্যালয়ে রহস্যজনক চুরির খবরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিদায়ী ইউএনও তাহমিদা আক্তারের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। 

জানা গেছে, রোববার (২১ এপ্রিল) শাজাহানপুর উপজেলার ইউএনও তাহমিদা আক্তারের শেষ কর্ম দিবস ছিল। তার শেষ কর্মদিনের ঠিক আগের দিনে রহস্যজনক চুরির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রোববার দুপুরে শাজাহানপুর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম চুরির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। 

উপজেলা প্রশাসনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে চুরির অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে শনিবার দুপুরে মোস্তা নামে উপজেলা দপ্তরের এক কর্মচারী চুরির বিষয়টি টের পান। কোনো এক সময় চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। 

জানা গেছে, ইউএনও তাহমিদা আক্তার বিদায়ের আগেরদিন শনিবার দুপুরে অফিস কর্মচারী মোস্তা একটি কক্ষের দরজার তালা ভাঙা দেখতে পান। বিষয়টি ইউএনওকে জানালে তিনি এসে দেখেন তার অফিস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সহকারীর কক্ষ থেকে ৩ টি কম্পিউটার হার্ডডিস্ক, ১ ল্যাপটপ ও ২টি সিসি ক্যামেরাসহ হার্ডডিস্ক উধাও হয়ে গেছে। 

সূত্র জানায়, সম্প্রতি ইউএনও তাহমিদা আক্তারের বিরুদ্ধে মাটিকাটা বন্ধের একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ উঠে। এ ছাড়া হাটের ইজারার টাকা বকেয়া রাখার বিনিময়ে ঘুষ নেয়াসহ কর্মচারীদের বিল আটকে রাখার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে দেয়া হয়। 

অভিযোগ-সমালোচনার মুখে শাজাহানপুর উপজেলা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলায় তাহমিদা আক্তারকে বদলি করা হয়। গত ৮ এপ্রিল রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার মাঠ প্রশাসন শাখার সিনিয়র সহকারী কমিশনার প্রিয়াংকা দাস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেয়া হয়। গত বছরের ১২ ডিসেম্বরে তাহমিদা আক্তার শাজাহানপুর উপজেলায় যোগদান করেছিলেন। 

উপজেলা প্রশাসনের দপ্তরে চুরির ব্যাপারে শাজাহানপুর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে অফিস বন্ধ করে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যে যার মতো চলে যান। শনিবার দুপুরের দিকে অফিসে এসে চুরির বিষয়টি জানতে পারেন অফিসের স্টাফ মোস্তা। তবে ইউএনও অফিসের মূল দরজা তালা লাগানো ছিল। চুরির বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। 

এদিকে সদ্য বদলি হওয়া ইউএনও তাহমিদা আক্তার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ব্যস্ত আছেন বলে মোবাইলের কল কেটে দেন। 

মন্তব্য করুন