বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ০৫:০৪ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

নন্দীগ্রামে নামাজ শেষে মসজিদের সামনে হামলা, আহত ২

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়ার নন্দীগ্রামে মনিনাগ জামে মসজিদের মিটিং চলাকালে হুমকির পর নামাজ শেষে হামলা করে দুইজনকে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।  

এ ব্যাপারে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। 

উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের মনিনাগ গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে ৯জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। 

এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায় মনিনাগ জামে মসজিদের সামনে পিতা-পুত্রকে মারপিটের ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত আবু বক্কর সিদ্দিক (৫০) আশঙ্কাজনক অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। 

মামলার বিবরণে জানা গেছে, আহত বক্করের সঙ্গে মনিনাগ গ্রামের খলিলুর, কন্টু, রেজাউলসহ কয়েকজনের পূর্ব বিরোধ রয়েছে।  শনিবার বিকেলে মনিনাগ জামে মসজিদের বিষয়ে মিটিংয়ে তারা সবাই উপস্থিত ছিলেন। মিটিং চলাকালে হঠাৎই বক্করের সঙ্গে তর্কে জড়ান কন্টু মিয়া। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে বক্করকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে সে চলে যায়। একইদিন সন্ধ্যায় বক্কর ও তার ছেলে রবিউল জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় শেষে বের হওয়ামাত্রই ৮/৯জন ব্যক্তি তাদের ওপর হামলা করে। ধারালো চাকু দিয়ে বক্করের মাথায় আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। লোহার রডের আঘাতে তার ডান হাতের আঙুল জখম হয়েছে। বাবাকে বাঁচাতে ছেলে এগিয়ে গেলে তাকেও মারপিট করে প্রতিপক্ষের লোকজন। স্থানীয়রা সিদ্দিককে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। 

নন্দীগ্রাম থানার ওসি আজমগীর হোসাইন আজম বলেন, মসজিদের সামনে মারপিটের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। 

মন্তব্য করুন