পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪ জুন, ২০২৪, ০৭:৫৭ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

পাকুন্দিয়ায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পাকুন্দিয়ায় জমে উঠেছে জমজমাট কোরবানির পশুর হাট। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পাকুন্দিয়া উপজেলা এলাকার কোদালিয়া বাজার, মির্জাপুর, হোসেন্দী, নারান্দি, পুলেরঘাট, মঠখলা, জাঙ্গালিয়া বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বসতে শুরু করছে পশুর হাটগুলো।

হাটগুলো ক্রেতাদের পদচারণায় সরগরম থাকলেও দাম সাধ্যের বাইরে থাকায় অনেক ক্রেতাই দাম কমার অপেক্ষা করছেন। তবে, দুই একদিনের মধ্যে ক্রেতারা কোরবানির পশু কিনতে শুরু করবেন বলে মনে করছেন হাটে পশু বিক্রি করতে আসা ব্যবসায়ীরা। সরেজমিনে গিয়ে মির্জাপুর পশুর হাটে ঘুরে কথা হয় ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে। অন্যান্য বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি মনে করছেন এ হাটে আসা ক্রেতারা। লোক সমাগম অনেক হলেও বেচা বিক্রি জমে উঠেনি বলে জানালেন একাধিক বিক্রেতারা। ঈদ যত কাছে আসছে পশুর হাটের ভিড় ও আস্তে আস্তে বেড়েই চলছে।

শেষ মুহুর্তে আরো বেশি ভিড় বাড়বে এবং রাতব্যাপী পর্যন্ত বেচা-কেনা চলবে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা ও গরুর বাজার কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে বাজারগুলোতে জাল টাকা শনাক্তকরণে কোনো যন্ত্র না থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পশুর হাট-ঘুরে আরো দেখা যায়, সম্পূর্ণ হাট ছিল গরু, ছাগলসহ বিভিন্ন পশুতে পরিপূর্ণ। তবে দাম বেশি থাকায় মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত মানুষকে হিমশিম খেতে দেখা গেছে। তবে অন্য বছরের তুলনায় দাম একটু বেশি। অনেক ক্রেতাদের কোরবানির পশু না কিনে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়েছে। তবে আরো কয়েক দিন অপেক্ষা করে কোরবানির পশু কিনবেন বলে জানিয়েছেন অনেকে।

বাজারে দাম বেশি থাকায় অনেক বিক্রেতাকে ও তাদের আমদানিকৃত গরু বিক্রি না করে ফিরিয়ে বাড়িতে নিয়ে যেতে হয়েছে। এদিকে, ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি ছোঁয়ায় আরো একধাপ এগিয়ে জমে উঠেছে পশুর হাট। অনেকেই স্মার্ট ফোনে ফোর-জি, থ্রি জি নেটওয়ার্কের আওতায় ইমো, স্কাইপিসহ বিভিন্ন অ্যাপ এর মাধ্যমে ভিডিও কলে বিদেশে অথবা বাড়িতে থাকা স্বজনদের গরু দেখাচ্ছেন এবং তারা ভিডিও কলে গরু দেখে দেখে পছন্দ করছেন কোনটা কিনবেন। এ ছাড়াও অনেকেই গরুর ছবি তুলে হোয়াটস আপের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের শেয়ার করছেন।

উপজেলার  মতিন মিয়া নামে এক বিক্রেতা জানান, প্রচন্ড গরমে কারণে গরুর বাজারে দুরের মানুষ গুলো আসতে না পারায় বাজারে অনেকটা ক্রেতা শুন্যতা দেখা যাচ্ছে।

উপজেলা চন্ডিপাশা গ্রামে মাজারল ইসলাম এংরাজ নামে এক ক্রেতা জানান, দেশীয় গরু কিনতে বাজারে এসেছি, বাজারে দাম খুব বেশি তাই কোরবানির গরু কিনতে হিমশিম খাচ্ছি। আগামী বাজারে দাম আরো কমতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

ঐতিহাসিক কোদলিয়া স্কুল মাঠে বাজারে আঃ মান্নান এক গরু বিক্রেতা জানান, দীর্ঘদিন ধরে গরু লালন-পালন করেছি লাভের আশায়, যদি ভারতীয় গরু বাজারে না আসে তাহলে আমাদের দেশীয় গরুগুলো ন্যায্য মূল্য পাবো বলে আশাবাদী।

পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মেহেদী জানান, উপজেলা ১৩ টি গরু হাট এবং পশু কোরবানি চাহিদা প্রায় ১৫ হাজার থেকে সাড়ে ১৬ হাজারের বেশি পশু লালন পালন করেছেন । ক্রেতারা গরু কিনতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। 

 

মন্তব্য করুন