আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১ জুলাই, ২০২৪, ০৬:৫৪ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক না মৃত্যুকূপ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কটি এখন মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। দুদিন না যেতেই ঘটছে একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনা। প্রতিনিয়তই বেড়ে যাচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনা, মা হারাচ্ছে তার সন্তানকে, বোন হারাচ্ছে তার ভাইকে, স্ত্রী হারাচ্ছে তার স্বামীকে, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে সড়কে নিয়ে নিচ্ছে তাজা সকল প্রাণ, কখনো বাসে-বাসে সংঘর্ষ আবার কখনো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যাচ্ছে বাসসহ অন্যান্য যানবাহন। অধিকাংশ সময় চালকরা ট্রাফিক সাইন বা রোর্ড মার্ক না মেনে বেপরোয়া বাসের চাপায় প্রাণ হারাচ্ছে পথচারী ও মোটরসাইকেল আরোহীরা। ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসি কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি গোলাম রসুল মোল্লা বলেছেন, গত প্রায় ছয় মাসে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে একাধিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে শতাধিক মানুষ। যার মধ্যে শুধুমাত্র গৌরনদী উপজেলাতেই ঘটেছে ১ মাসে ৪১টি দুর্ঘটনা। আশোকাঠি থেকে ভুরঘাটা সড়কে এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার আশোকাঠী এলাকায় দুই পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ইলিশ পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস উল্টে ডোবায় পড়ে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। 

একদিন পরেই মহাসড়কের মাহিলাড়া এলাকায় বাস-কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়। একই এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এনা পরিবহনের বাস উল্টে পুকুরে পড়ে। এ সময় বাসের চাপায় এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয় কমপক্ষে ১২ জন। ইল্লা-ভুরঘাটার মধ্যবর্তী এলাকায় যাত্রী- বাহী বাস ও ট্রাক্টর দিয়ে তৈরি অবৈধ ট্রলির সংঘর্ষে বাসযাত্রী এক যুবক নিহত হয়। আহত হয় বাসের ১০ যাত্রী। কটকস্থল নামক স্থানে একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কায় ইকরা বিনতে হাফিজা নামক নারী চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। হাইওয়ে পুলিশের হিসেবে গত ৬ মাসে নিহতের সংখ্যা ১৫ জন। এছাড়া সর্বশেষ উজিরপুরে সাকুরা পরিবহনের চাপায় একজন ইজিবাইক চালক নিহত হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাওয়া থেকে স্পিডওয়েতে ভাঙ্গা পর্যন্ত এসেই দুই লেনের সড়কের সাথে সামঞ্জস্য রাখতে পারে না বেশিরভাগ চালক। এর ওপর কিছু চালকের নিম্নতম ধারনা নেই ট্রাফিক সাইন বা রোর্ড।

মন্তব্য করুন