রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ জুন, ২০২৪, ০৩:৩১ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

রাজধানীতে জমে উঠেছে পশুর হাট

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোরবানির পশু নিয়ে রাজধানীতে আসছেন খামারিরা। এ বছর রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে ২০টি কোরবানির পশুর হাট বসেছে। ইতোমধ্যে জমে উঠেছে এ সব হাট। বিক্রেতারা বলছেন, হাটে পশুর সরবরাহ বেশি থাকলেও ক্রেতা কম। ক্রেতারা জানান, গত বছরের চেয়ে এবার গরুর দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে।

রাজধানীতে কোরবানির পশু বিকিকিনির জন্য ছোট-বড় অনেক হাট বসেছে। ঢাকার বাসিন্দাদের সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি থাকে গাবতলী পশুর হাটে। এই হাটে ছোট মাঝারি বড় সব ধরনের গরু পাওয়া যায়। আবার দুম্বা, উটসহ অন্যান্য জাতের কোরবানিযোগ্য পশুও পাওয়া যায়।

শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেলে গাবতলীর পশুর হাটে ক্রেতাদের বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। গত কয়েকদিন নীরব থাকলেও আজ বিকেল থেকে হাট জমে উঠেছে। যদিও বিক্রেতাদের দাবি, এখনো সেভাবে বেচা-বিক্রি শুরু হয়নি। দরদাম করে চলে যাচ্ছেন অনেক ক্রেতা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশাল বিশাল আকৃতির গরু গাবতলীর পশুর হাটে নিয়ে এসেছেন বিক্রেতারা। এগুলো এখনো তেমন বিক্রি হচ্ছে না। তবে ছোট ও মাঝারি আকারের গরু বিক্রি হচ্ছে। হাটে ছোট গরুর চাহিদা বেশি, তাই দামও একটু বেশি বলে জানান ক্রেতারা।

ছোট আকৃতির গরু ৬০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। একটু বড় সাইজের গরু দেড় লাখ থেকে দুই লাখে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকৃতির গরু দুই লাখ থেকে ৪ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর চেয়ে বেশি দামের গরুগুলোকে বড় আকৃতির ধরা হচ্ছে। সেগুলোর দাম ৫ লাখ থেকে ২০-২৫ লাখ পর্যন্ত চাওয়া হচ্ছে। হাটে আসা বেশিরভাগ ক্রেতাকে ছোট ও মাঝারি সাইজের গরু কিনতে দেখা গেছে।

গাবতলী হাটে প্রবেশমুখের পাশেই বেশ বড় একটি গরু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ব্যাপারী একরাম হোসেন।  তিনি বলেন, বাজারে ক্রেতাদের কোনো চাহিদা নেই। আমাদের গরুর দাম বলে ৪০০ টাকা করে কেজি। আমার এই গরুটার ওজন ২৬ মণের বেশি। এখন পর্যন্ত ক্রেতারা সাড়ে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছে। আমরা ১২ লাখ টাকা দাম চাইছি। ক্রেতারা যে দাম বলছে তাতে মাংসের দামই বলছে না।

এই ব্যাপারী বলেন, ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। বড় গরুর চাহিদা নেই বললেই চলে।

আশুলিয়া থেকে নয়া রাজা নামে গরু নিয়ে আসা আয়েশা অ্যাগ্রোর মালিক বলেন, আমার নয়া রাজার ওজন ৩৮ মণের বেশি হবে। ক্রেতারা আসছেন, দেখছেন, দামও বলছেন। এখন পর্যন্ত নয়া রাজার দাম ৯ লাখ উঠেছে। আমি ১৪ লাখ টাকা চেয়েছি। তবে ক্রেতারা নিতে চাইলে সমন্বয় করে দিয়ে দেব। আমি এখন পর্যন্ত একটা গরু বিক্রি করেছি, নয়া রাজাকে নিয়েও আমি আশাবাদী।

গাবতলীতে গরু কিনতে এসেছেন মিরপুরের বাসিন্দা হারুন-অর-রশিদ। তিনি বলেন, আমি ছোট সাইজের মধ্যেই একটু বড় গরু কিনেছি। আমার এই সাইজের গরু কিনতে ব্যয় করতে হয়েছে এক লাখ ২০ হাজার টাকা। আমার বাজেটের মধ্যেই পেয়ে গেছি, এজন্য কিনে ফেললাম।

শ্যামলী থেকে গাবতলীতে গরু কিনতে আসা করিম বলেন, আমি ছোট সাইজের গরু কিনলাম। আগেভাগে কিনে ঝামেলা থেকে রক্ষা পেলাম। আগামী দুইদিন অনেক ভিড় হবে। আমি ৬৩ হাজার টাকায় কিনতে পেরেছি। বাজেটের মধ্যে হয়ে গেছে।

মন্তব্য করুন