রূপালী বিশ্ব

প্রকাশিত: ২ জুলাই, ২০২৪, ০৭:১৩ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

ভারতে উত্তর প্রদেশে পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৭

ভারতের উত্তর প্রদেশের হাতরাস শহরে এক ধর্মীয় সমাবেশে পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী পুণ্যার্থী। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস জানিয়েছে, রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে হাতরাস শহর। সেখানে শিব দেবতার পূজা উপলক্ষে পুণ্যার্থীরা জড়ো হয়েছিলেন। প্রার্থনা সভাটি আয়োজন করা হয়েছিল স্থানীয় এক ধর্মীয় গুরুর সম্মানে।

ঘটনাটি ঘটে যখন একজন ধর্মীয় প্রচারক হাতরাস জেলার সিকান্দ্রা রাউ এলাকার রতি ভানপুর গ্রামে একটি বিশেষভাবে স্থাপিত তাঁবুতে তার অনুসারীদের ভাষণ দিচ্ছিলেন।

স্থানীয় সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা আশঙ্কা করছেন হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

এদিকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, হাতরাসের মুঘলগড়ী গ্রামে ধর্মীয় এক আয়োজন চলার সময় এই ঘটনা ঘটে।

ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া এক নারী জানিয়েছেন, অনুষ্ঠান শেষে যখন মানুষ বের হয়ে যাচ্ছিলেন তখন পদদলনের ঘটনা ঘটে। পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার সিংহ জানান, হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। সেই সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।  আলিগড়ের আইজি জানিয়েছেন, সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। যারা বেঁচে আছেন তাদের কাছ থেকে গোটা বিষয়টি জানার চেষ্টা চলছে।

এ ঘটনায় প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন। এছাড়া এক্সে এক পোস্টে আদিত্যনাথ জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন। এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নির্দেশনাও দিয়েছেন। এ ঘটনায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবের সময় ভারতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রায়ই ঘটে। ২০০৮ সালেও রাজস্থানের যোধপুরে পদদলিত হয়ে ২২৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মধ্য প্রদেশে ২০১৩ সালে একটি মন্দিরের কাছে সেতুতে পদদলিত হয়ে ১১৫ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছিল। সে সময় সেখানে ৪ লাখের মতো মানুষ জড়ো হয়েছিল। গুজব ছড়িয়ে পরেছিল সেতুটি ধসে পড়বে, আর তখনই এই পদদলনের ঘটনা ঘটে।

২০১৬ সালে কেরালায় একটি মন্দিরে হিন্দুদের নতুন বছর উদ্‌যাপনের সময় নিষিদ্ধ আতশবাজি ফুটানোর সময় ব্যাপক বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অন্তত ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

মন্তব্য করুন