রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭ জুন, ২০২৪, ০৬:১৬ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

ঢাকার অলিতে গলিতে পশু কোরবানি, মানছেন না নির্দেশনা

নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানির ধারণা নিয়ে ২০১৫ সাল থেকে কাজ শুরু করে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। গত প্রায় এক দশক ধরে নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দিতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে চেষ্টা করছে ঢাকার নগর কর্তৃপক্ষ। তবে ২০২৪ সালে এসেও এতে সাড়া দেয়নি রাজধানীবাসীরা। এবারও ঢাকার অলিতে গলিতে কোরবানির পশুর জবাই করা হয়েছে। এমনকি নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দিলে সিটি করপোরেশনের প্রণোদনা ও মাংস পরিবহনের সুবিধার ঘোষণাতেও সাড়া দেয়নি জনগণ।

সোমবার (১৭ জুন) সকালে পাড়া-মহল্লায় নামাজ শেষে পশু কোরবানি শুরু করেন মুসলমানরা। রাজধানীর প্রতিটি অলিতে গলিতেই পশু কোরবানির দৃশ্য চোখে পড়ে।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাসার নিচের গ্যারেজে, বাড়ির সামনের রাস্তায়, আবার কোথাও এলাকার ফাঁকা মাঠে পশু কোরবানি চলছে।

২০২১ সালে নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ের ধারণা থেকে সরে আসে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এ বছর উত্তর সিটি করপোরেশনও নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাইয়ের উদ্যোগ থেকে বেরিয়ে এসেছে। তবে এর পরেও দুয়েকটি এলাকায় নির্ধারিত স্থানে কোরবানির ব্যবস্থা করেছে উত্তর সিটি।

ঘোষণা করা হয়েছে বিশেষ প্রণোদনা। যেমন— নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করলে দেওয়া হবে এক হাজার টাকা। সেইসঙ্গে ভ্যানে করে বাসায় মাংস পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়া রোদ-বৃষ্টি থেকে মুক্তি দিতে পশু কোরবানি দেওয়ার স্থান সাজানো ত্রিপল দিয়ে, রয়েছে সবার জন্য লেবুর শরবতের ব্যবস্থা।

উত্তর সিটির নির্ধারিত কোরবানির স্থানের একটি মিরপুরে (৩ নম্বর ওয়ার্ড) উদ্ধার হওয়া প্যারিস রোড সংলগ্ন খেলার মাঠ। ওই এলাকার প্রায় ৫০০ গরু জবাই করার পরিকল্পনা করেছে উত্তর সিটি। তবে বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত সেখানে মাত্র ৬টি গরু কোরবানি দেওয়া হয়। এছাড়া তখন আরও তিনটি গরু কোরবানি দেওয়ার জন্য রাখা ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

এবার রাজধানী জুড়ে প্রায় ১২ লাখ পশু কোরবানি হতে পারে বলে মনে করছে সিটি করপোরেশন। ধারনা করা হচ্ছে, জবাই করা পশু এবং কোরবানির হাট মিলিয়ে বর্জ্য তৈরি হবে ২২ হাজার মেট্রিক টনের মতো।

মন্তব্য করুন