বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩ জুন, ২০২৪, ১২:২৩ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড়ের ৭ দিন পরেও মিলেনি বিদুৎ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঘুর্নিঝড় রেমালের তাণ্ডবে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ৩০ হাজারেরও অধিক গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন রয়েছে। অন্ধকারে রয়েছে উপজেলার লক্ষাধীক মানুষ। 

একদিকে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী প্রচন্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন অন্যদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় বর্তমান সময়ে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম মোবাইলে চার্জ দিতে না পেরে স্বজনদের খবরা খবর জানতে পারছেনা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষ। তবে ঘুর্নীঝড় শেষ হওয়ার ৫ দিনের মধ্যে পৌরসভার ১৭ হাজার গ্রাহকের মাঝে বিদ্যুৎ সংযোগ দিলেও দিনে-রাতে সমান তালে বিদ্যুৎ যাওয়ার গ্রহকরা অতিষ্ঠ।

পল্লী বিদ্যুৎ মোরেলগঞ্জ জোনাল অফিসের দেয়া তথ্যমতে বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন মোড়েলগঞ্জে ৮০ হাজার গ্রাহক আছে। 

এ উপজেলায় ২ হাজার ৩ শত কিলোমিটার জুড়ে বিদ্যুৎ লাইন রয়েছে। রেমালের তান্ডবে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙে পড়ে ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে । এতে বিদ্যুৎ বিভাগের এ উপজেলায় প্রায় ৭৫ লাখ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। কয়েক হাজার গ্রাহককে চার দিনেও বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পারেনি বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

একদিকে বসতঘর, হারিয়ে নিঃস্ব ১৮ হাজার পরিবার, অন্যদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় অন্ধকারে বিপাকে পড়েছে লক্ষাধীক মানুষ। এ ঘূর্ণিঝড়ে এবারে বিদ্যুৎ সংযোগের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খাওলিয়া, বহরবুনিয়া, বারইখালী, জিউধারা, হোগলাবুনিয়া, পঞ্চকরন, পুটিখালি, তেলিগাতী এলাকার নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো।

রেমালের কারনে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের অর্ধ শতাধিক খুঁটি ভেঙে পড়ে ২ শতাধীক স্থানে গাছপালা ভেঙ্গে পড়ায় সরবরাহ লাইনের তার ছিঁড়ে বিচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় মটারে পানি তুলতে না পেরে বেশিরভাগ বাসিন্দাই ভুগছেন দৈনন্দিন ব্যবহার্য ও খাবার পানি সংকটে।

রেমালে’ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় মোরেলগঞ্জ সাবস্টেশন -১/২ এর অধীনে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পুরো উপজেলায় সব জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে পল্লী বিদ্যুৎ মোরেলগঞ্জ জোনাল অফিসের কর্মকর্তরা জানিয়েছেন।

পল্লী বিদ্যুৎ মোরেলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম ওয়াদুদ খন্দকার বলেন, রেমালের ঝড়ে গাছপালা ভেঙে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের শতাধীক স্থানে তার ছিঁড়ে গেছে। এ ছাড়া অর্ধ শতাধীক বিদ্যুতের খুঁটিও উপড়ে গেছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে লাইন সংস্কারে উপজেলায় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা,কর্মচারী সহ ১৮০ জন শ্রমিক কাজ করছে।

উপজেলায় শতভাগ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে আরও এক সম্পাহ সময় লাগবে।

বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজর (জিএম) সুশান্ত রায় বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে মোরেলগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমাদের সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে, প্রতিদিন লোকবল বাড়িয়ে কাজ করানো হচ্ছে। তবে দ্রুত মেরামত কাজ শেষ করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি।

 

মন্তব্য করুন