বান্দরবান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯ জুন, ২০২৪, ০৩:০৬ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বান্দরবানে পর্যটক নাই

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঈদের ছুটির দিনেও পর্যটন কেন্দ্রেগুলোতে স্থানীয় লোকজন ছাড়া পর্যটকদের আনাগোনা কম দেখা গেছে। টানা ছুটিতে পাহাড়ে মেঘের মিতালী সৌন্দর্যের উপভোগ ছড়াতে পর্যটকদের জন্য কক্ষ বা হোটেল সাজিয়ে রাখলেও আশানুরুপ পর্যটক না আসায় হতাশ হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

পাহাড়ের নানা সমস্যা সম্মুক্ষীন হওয়ার ফলে হোটেল- গাড়ি ও ট্যুরিষ্ট গাইডসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসা মুখ থুবরে পড়েছে। এতে কয়েক কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে মালিকদের। জেলা জুড়ে পার্শ্ববর্তী পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে অধিকাংশ স্থানীয় ছাড়া দুর-দুরান্ত থেকে পর্যটকদের তেমন আগমন ঘটেনি। যার ফলে খালি রয়েছে হোটেল- মোটেল। পর্যটকদের আনাগোনা কম হওয়াই ষ্টেশন থেকে চান্দের গাড়ি তেমন ছেড়ে যায়নি।

বান্দরবানের শহরে নিকটবর্তী নিলাচল, মেঘলা, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক ও নীলগীরিসহ বেশ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র খোলা রয়েছে। সেসব কেন্দ্রগুলোতে অধিকাংশ স্থানীয় পর্যটক। কেউ এসেছেন কেরানীহাট  আবার কেউ চট্টগ্রাম থেকে। মোটর বাইক দিয়ে পর্যটকরা আসলেও কিছুক্ষণ ঘুরে পাড়ি জমান পার্শ্ববর্তী জেলা রাঙ্গামাটিতে। স্থানীয় পর্যটকরাও ঘোরাফিরে দিন শেষে চলে যান নিজ এলাকায়। তাছাড়া হোটেল মালিকরা বিশেষ ছাড় দেওয়া পরও পর্যটকরা আসছেন নাহ সৌন্দর্যের ঘেরা পাহাড়ী কণ্যা বান্দরবানে।

পর্যটন ব্যবসায়ী ও জীপ মালিকেরা জানিয়েছেন, পাহাড়ের বিভিন্ন সমস্যা হওয়ার কারণে স্থানীয় ও পর্যটকদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। যার কারনে স্থানীয় ছাড়া পর্যটকদের পদচারণায় তেমন মুখরিত হয়নি। গেল বছরে পাহাড়ের স্বাভাবিক অবস্থা থাকার ফলে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছিল। এতে জেলা জুড়ে সবক্ষেত্রে ব্যবসা বেশ চাঙ্গা হয়েছিল। পুণরায় আবার সেই ব্যবসা ধস নেমেছে। পর্যটক না আসায় ষ্টেশন থেকে গাড়ি ছেড়ে গিয়েছে মাত্র ২০টি চান্দের গাড়ি। গত বছরে পর্যটক বেশী হওয়াই গাড়ি সার্ভিস দিতে হিমসিম খেতে হয়েছিল মালিকদের ।

কিন্তু চলমান পরিস্থিতি কারণে সবাইকে আবার অলসতা সময় পাড় করতে হচ্ছে। পাহাড়ের পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান করে পূণরায় বান্দরবান জেলাকে পর্যটন নগরী হিসেবে রুপান্তর করা দাবী জানান তারা।

নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রে টিকেট কাউন্টার থাকা সুমি ত্রিপুরা জানান, সারাদিনে একহাজার দুইশত মতন টিকেট বেচাকেনা হয়েছে। তবে বেশীর ভাগই স্থানীয় পর্যটক বেশী।

গ্রীনল্যন্ড ম্যনেজার ও অরণ্যের হোটেল মালিক সুমন ও জসিম বলেন, পাহাড়ের পরিস্থিতি খারাপের কারণে পরযটকদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে গেছে। যার কারণে ঈদে পর্যটকদের তেমন আনাগোনা নাই। চলমান পরিস্থিতি কারণে হোটেল মালিকদের ক্ষতি ছাড়া লাভ হচ্ছে নাহ। ঈদে টানা ছুটিতে সারাদিনে মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বুকিং হয়েছে বলে জানান তারা।

জীপ ও কার মালিক সমিতি লাইনম্যান কামাল বলেন, গত বছরের তুলনায় এই বছরে আশানুরুপ পর্যটক আসেনি। সারাদিনে ষ্টেশন থেকে মাত্র ২০টি চান্দের গাড়ি ছেড়ে চলে গেছে।

হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এবার ঈদের টানা ছুটিতে মোটামুটি পর্যটকদের আগমন ঘটেছে। জেলা শহরে হোটেল মোটেলের ৬০ শতাংশ বুকিং হয়েছে বলে দাবী করে তিনি।

মন্তব্য করুন