বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩১ মে, ২০২৪, ০৮:৫৮ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

মানুষের কল্যাণে কাজ করেন যারা, তারই মহৎ: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, মানুষের মধ্যে যারা অনিত্য জীবন ধারণ করে নিত্য জীবন ধারণ করেছেন এবং যারা মানুষের কল্যাণে কাজ করেন তারাই প্রকৃত মহৎ।

শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলাসদরের কমলছড়ি গ্রামে ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘পার্বত্য বৌদ্ধ মিশন (পিবিএম) অনাথালয়’ পুনরায় চালুর লক্ষ্যে আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্ঞানদীপ্ত, বুদ্ধিদীপ্ত মানুষের উপস্থিতিতে আজ পার্বত্য বৌদ্ধ মিশন (পিবিএম) অনাথালয় পুনরায় চালুকরণ হলো। অনাথালয় হলো যেখানে অসহায় বা দীন-দুঃখীদের লালন পালন করা হয়। অনাথালয়ে অনাথদের আশ্রয় দান একটি মহৎ কাজ।

কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, আমরা মানুষ। মানুষের অনিত্য জীবনের মধ্যে যারা নিত্য জীবন ধারণ করেছেন তারাই মহৎ ও মহান। মহান ও মহৎ মানুষ পৃথিবীতে এসেছেন আবার চলেও গেছেন। তারা মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, নবী করীম (সঃ), যীশুখ্রিষ্ট, গৌতম বুদ্ধ এরা ছিলেন মানুষরূপী দেবতা।

তিনি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, জীবনে বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্যের প্রয়োজন রয়েছে। ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য অনৈক্য দূর করে সকলকে একে-অপরের কাছে আসতে হবে। বৃহত্তর ও দূরদর্শী চিন্তা ছিলো বলেই সত্তরের দশকে শ্রদ্ধেয় জ্ঞানশ্রী ভান্তে দীঘিনালায় পার্বত্য চট্টল অনাথাশ্রম এবং আশির দশকে খাগড়াছড়ির কমলছড়ি শ্রদ্ধেয় সুমনালংকার ভান্তে পিবিএম’র মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। এইসব মহীয়সী মানুষদের সৃষ্টিকে লালন এবং এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব সবাই মিলেই পালন করতে হবে।

কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষের কথা ভাবে, দেশের শান্তির কথা ভাবে বলেই পার্বত্য অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক সংঘাত বহুলাংশে বন্ধ হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের মনে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের  স্রোতধারা বহমান রয়েছে। আগামিতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব পদ-মর্যাদা) সুদত্ত চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব পদ-মর্যাদা) সুপ্রদীপ চাকমা, মং সার্কেল চীফ সাচিংপ্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ-প্রফেসর ড, সুধীন কুমার চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চাইথোঅং মারমা, বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি সুশীল জীবন ত্রিপুরা, অবসরপ্রাপ্ত মেজর ডা, অজয় চাকমা এবং খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সংস্থা’র চেয়ারপারসন শেফালিকা ত্রিপুরা।

 

মন্তব্য করুন