নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ২ জুলাই, ২০২৪, ০১:৪০ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, খালু গ্রেফতার

ছবি: সংগৃহীত

পুরুষ কখনও খালু হয়না- প্রবাদ বাক্য নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মতভেদ রয়েছে। তবে, ডন সাহা নামের পিতৃ সমতূল্য খালু এক শিশুকে ধর্ষন করে প্রবাদ বাক্যটির প্রমান করে দিয়েছেন! ৮ম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত ওই শিশু কন্যাকে দুই দফা ধর্ষণ করার পর রোববার (৩০ জুন) রাতে আবারও শিশুটিকে ধর্ষণ করতে এসে গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়ে। স্থানীয়রা লম্পট খালু ডন সাহাকে ধোলায় দেয়ার পর তালা থানা পুলিশে সোপর্দ করে।

তালার ইসলামকাটি গ্রামের দাশ পাড়ার নির্যাতিত ওই শিশু (১৩) এর দরিদ্র পিতা জানান, তার দূরসম্পর্কের ভাইরা ভাই যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের চন্দ সাহা’র ছেলে ডন সাহা’র সাথে যৌথভাবে খেজুরের পাতা সংগ্রহ করে সাতক্ষীরার ঋশিল্পিতে বিক্রি ব্যবসা করে আসছিল। এইসূত্রে প্রায় ১ বছর ধরে ভাইরাভাই ডন তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া ও রাত্রি যাপন করতো। এরমাঝে তার ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ের উপর কূ-নজর পড়ে লম্পট ডন সাহা’র। সে বিভিন্ন সময়ে মেয়েকে একা পেয়ে উত্ত্যক্ত এবং কূ-প্রস্তাব দেয়। এতে শিশু মেয়েটি রাজি না হলে কয়েক দফা তাকে মারপিট করে। একপর্যায়ে ২০/২৫ দিন আগে লম্পট খালু ডন সাহা বাড়িতে একা পেয়ে ছোট ভাইকে হত্যার হুমকি দিয়ে শিশু মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এঘটনার ৫/৭ দিন পরে হুমকি দিয়ে আবারও শিশুকে ধর্ষন করে ডন সাহা। ওইদিন ঘটনাটি শিশুর মা বুঝতে ও জানতে পেরে পরিবারের লোকদের অবহিত করে। একপর্যায়ে বিপদ বুঝতে পেরে ডন এলাকা থেকে সটকে পড়ে।

শিশুটির মা জানান, ওই ঘটনার পর লোকলজ্জা এবং মেয়ের স্কুল ও ভবিষ্যৎ জীবনের কথা ভেবে থানায় মামলা করা হয়নি। কিন্তু লম্পট ডন সাহা এলাকা থেকে চলে যাবার পরও মাঝে মাঝে রাতে এসে আমার মেয়েকে অপহরন করে নিয়ে যাবার জন্য আমাদের বাড়ির আশেপাশে ঘোরাঘুরি করতো। রোববার রাতে লম্পট ডন সাহা অনুরুপ আমাদের বাড়ির পিছনের বাগানে অবস্থান নিয়ে মেয়েকে ডাকাডাকি করতে থাকে। এসময় গ্রামের লোকজন এগিয়ে এসে লম্পট ডন সাহাকে তাড়িয়ে ধরে আটক করে তালা থানা পুলিশে সোপর্দ করে।

তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোমিনুল ইসলাম বলেন, শিশুটিকে ধর্ষনের ঘটনায় তার পিতা বাদী হয়ে সোমবার তালা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। ঘটনায় আটক ডন সাহাকে মঙ্গলবার সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে। এছাড়া একই দিনে শিশুটির মেডিকেল পরীক্ষাসহ বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি করানো হবে।

মন্তব্য করুন