বেরোবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২ জুলাই, ২০২৪, ০২:০৬ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

বেরোবি রেজিস্ট্রারকে চার ঘন্টা অবরুদ্ধ রাখেন কর্মচারীরা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) আপগ্রেডশেনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আলমগীর চৌধুরীর দপ্তরে অবস্থান নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।

সোমবার (০১ জুলাই) বেলা এগারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় রেজিস্ট্রারের রুমে কর্মচারীরা অবস্থান নিয়ে তারা নতুন নীতিমালা অনুযায়ী আপগ্রেডেশনের জন্য বাছাই বোর্ড আয়োজনের দাবি জানান।

জানা যায়, ইউজিসির নির্দেশনা অমান্য করে উপাচার্য গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ২৪ তারিখে কর্মচারীদের সংশোধিত নীতিমালা সিন্ডিকেটে অনুমোদন করেন। তবে সম্প্রতি  শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বাছাই বোর্ডের মাধ্যমে পদোন্নতি দেওয়া হলেও, তা পাননি সাধারণ কর্মচারীরা। এই পরিপ্রেক্ষিতে কর্মচারীরা রেজিস্ট্রারকে অবরুদ্ধ করেন।

পরে প্রায় চার ঘণ্টার দীর্ঘ আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপগ্রেডশন দেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করলে কর্মচারীরা রেজিস্ট্রারের দপ্তর ত্যাগ করেন বলে জানান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জমশেদ আলমগীর।

৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আপগ্রেডেশন বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক কর্মচারী পরিষদের নেতা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় চলে জোরের উপর, আমারা একই জায়গায় ১০  বা ১২ বছর চাকরি করতেছি আমাদের পদোন্নতি নাই কিন্তু কর্মকর্তাদের কারো সময় না হলেও পদোন্নতি পায়। ইউজিসির নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার ও পরিচালকের পদোন্নতি দেওয়া হয় আমাদের নীতিমালা বাস্তবায়ন হয় না।

এবিষয়ে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. নূর আলম মিয়া বলেন, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আপগ্রেডেশনের জন্য বাছাই বোর্ড আয়োজনের দাবি নিয়ে আমরা রেজিস্ট্রার দপ্তরে অবস্থান নিই। পরে বেশ কয়েক ঘণ্টা আলোচনার পর তারা ১৮ জুলাই পর্যন্ত অগ্রায়নের আবেদন করার জন্য এবং ১৯-২৫ জুলাই পর্যন্ত আবেদনকারীদের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সময় চেয়ে বোর্ড আয়োজনের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।

পরে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আলমগীর চৌধুরী বলেন, কর্মচারীরা যে আপগ্রেডেশনের জন্য বাছাই বোর্ড সভা আয়োজনের দাবি নিয়ে এখানে অবস্থান নিয়েছিলেন সে বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছি আমরা। এ ক্ষেত্রে আমরা তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অগ্রায়নের জন্য আবেদন করতে বলেছি।

ওই আবেদনপত্রসমূহ যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে বাছাই বোর্ডে সুপারিশ করা হবে।

মন্তব্য করুন