শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ঈদের তৃতীয় দিনেও উপচেপড়া ভিড়

গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ঈদের তৃতীয় দিনেও উপচেপড়া ভিড় ছিল। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,  সাফারি পার্কের প্রধান ফটকের বাইরে শত শত দর্শনার্থী টিকেট কাউন্টারের পাশে টিকিট পাওয়ার অপেক্ষায় দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। পার্কের প্রবেশ মুখে বাহিরে খালি জায়গায় বিভিন্ন ধরনের পণ্যের দোকান বসানো হয়েছে। 

পার্কে প্রধান ফটকের বাহিরে শত শত ব্যক্তিগত ভাড়ায় চালিত গাড়ি পার্ক করা ছিল। এসব গাড়িতে করে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে  সাফারি পার্কে এসেছেন। পার্কের প্রবেশ মুখের বাইরের অংশে  ঘোড়ার গাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অস্থায়ী বিনোদনের ব্যবস্থাও ছিল।

পার্কের প্রবেশ মুখ পেরিয়ে উত্তর পাশে  রয়েছে পার্কের প্রধান আকর্ষণ কোর সাফারি পার্ক। সেখানে আলাদা বেষ্টনীতে উন্মুক্ত পরিবেশে রয়েছে বাঘ, ভালুক, সিংহ, জেব্রা, জিরাফসহ আফ্রিকান বিভিন্ন ধরনের প্রাণী। সেখানেও বাসে উঠার জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে দর্শনার্থীরা টিকিট কাটছেন।

কোর সাফারি পার্কের রয়েছে আটটি মিনিবাস । কিছুক্ষণ পর পর দর্শনার্থীদের নিয়ে প্রাণীদের বেষ্টনীর ভেতর ঘুরে আসছে ওইসব মিনিবাস। এতে চড়ে পার্কের ভেতরে উন্মুক্ত পরিবেশে দেখা যায় বাঘ, সিংহ, ভালুক, জেব্রা, জিরাফসহ বিভিন্ন প্রাণী।

কোর সাফারির পশ্চিমে সাফারি কিংডমের প্রবেশ পথ। সেখানে আলাদা আলাদা টিকিট কেটে দর্শনার্থীরা দেখছেন ম্যাকাও, টিয়া, ঘুঘুসহ বিভিন্ন বিদেশি পাখি। কেউ কেউ আবার ম্যাকাও পাখির সঙ্গে সেলফি নিচ্ছেন। মাঝেমধ্যে কয়েকটি ম্যাকাও পাখি উড়ে এসে দর্শনার্থীর গায়ে বসছে।

বিকাল ৩টা দিকে পার্কের ভেতরে দেখা যায়, দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। পার্কের ভেতরে হেঁটে ঘুরে ঘুরে দর্শনার্থীরা দেখছেন কুমির, জলহস্তী, মদন টাক, উটপাখি, ইমু পাখি, বিভিন্ন ধরনের সাপ, ঈগল, ভুবন চিল ও রঙিন মাছ।

শিশু দর্শনার্থীর জন্য সাফারি পার্কের একটি অংশে তৈরি করা হয়েছে শিশুপার্ক। সেখানেও টিকিট কাটতে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয়। তবে লাইনে দাঁড়ানোর পর টিকেট কেটে শেষে শিশুপার্কে প্রবেশ করেই বিনোদন নিতে পারছেন তারা।

শনিবার বিকালে শ্রীপুর এলাকার ইলিয়াস ফকির  এসেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে সাফারি পার্কে ঘুরতে এসে টিকিট কাটতে বেগ পেতে হলেও প্রাণী ও পশুপাখি দেখে সেই কষ্ট ভুলে গেছেন তিনি।

দিনাজপুর থেকে আসা আসাদুজ্জামান তিনি বলছিলেন, ঈদের তৃতীয় দিন ও এতো লোক হবে বুঝতে পারিনি। লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে। পার্কে প্রবেশ করতে টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে এক ঘণ্টারও বেশি। কোর সাফারির বাসে উঠতে প্রায় আনুমানিক ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। এত সব ঝামেলার পর বাঘ ও সিংহ দেখতে পেয়েছি।

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আজ শনিবার ঈদের তৃতীয় দিন  সকাল ৯টা থেকে পার্কে  বিকাল ৫টা পর্যন্ত ১২ হাজার ৩৫০ দর্শনার্থী প্রবেশ ছিল। ঈদের ছুটিতে প্রতিদিনই দর্শনার্থীদের সংখ্যা বাড়বে বলে তিনি জানান