আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩ মে, ২০২৪, ০৫:০৮ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

খুনের আগে এমপি আনারকে বহন করা সেই লাল গাড়ি চালকসহ আটক

ছবি সংগৃহীত

এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে নিয়ে যে গাড়িটি কলকাতার নিউ টাউনের অ্যাকুইটিকা কমপ্লেক্সের ডুপ্লেক্স বাড়িটিতে ঢুকেছিল, কলকাতা পুলিশ গতকাল বুধবার রাতে লাল রঙের সেই গাড়ি চালকসহ আটক করেছে। ওই গাড়িতে এমপি ছাড়াও এক নারী ও দুই পুরুষ সঙ্গী ছিলেন। 

এ ছাড়া গতকাল সকালে সাদা রঙের আরও একটি গাড়ি চালকসহ আটক করা হয়েছে। খুন হওয়ার পর এমপির মৃতদেহের টুকরো সেই গাড়িতে করে নেওয়া হয়েছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দুটি গাড়ির ফরেনসিক পরীক্ষা করছে কলকাতা পুলিশ। 

ঢাকা মহানগর পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, এমপি খুনের মামলা তদন্তে কলকাতা পুলিশের দুই কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসছেন। আজই তাঁরা পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে খুনের তদন্ত নিয়ে বৈঠক করবেন। খুনের অগ্রগতি জানাতে দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। 

পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির মহাপরিদর্শক অখিলেশ চতুর্বেদী এর আগে জানিয়েছিলেন, অ্যাকুইটিকা কমপ্লেক্সের গেটে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ১৩ মে এমপি আনার এক নারী ও দুই পুরুষের সঙ্গে ওই কমপ্লেক্সে প্রবেশ করছেন। প্রবেশের পর তাঁকে বের হতে দেখা যায়নি। ১৩ ও ১৫ মের মধ্যে ওই নারী এবং দুই পুরুষকে বাড়িটি থেকে একাধিকবার বের হতে দেখা গেছে। এর মধ্যে তাঁদের অন্তত দুজনকে বড় বড় ব্যাগ হাতে নিয়ে গাড়িতে উঠতে দেখা গেছে। ব্যাগ নিয়ে তাঁরা যে গাড়িতে উঠেছিলেন, সেটা ছিল উবারের ভাড়া করা গাড়ি। ধারণা করা হচ্ছে, সেই গাড়ির রং সাদা। 

কলকাতা পুলিশ গাড়ির চালককে আটকের পর গতকাল রাত থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তারা জানার চেষ্টা করছে, গাড়ি নিয়ে তাঁরা কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন। 

তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, কলকাতার নিউ টাউনের অ্যাকুইটিকা এলাকার এই ডুপ্লেক্স বাড়িতেই এমপি আনারকে হত্যা করা হয়। ওই বাড়ির মালিক রাজ্য শুল্ক বিভাগের কর্মচারী সঞ্জীব ঘোষ। তিনি মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামানকে বাড়িটি ভাড়া দিয়েছেন।

আখতারুজ্জামানই এই খুনের ‘মাস্টারমাইন্ড’। খুনের পর নারী সঙ্গীকে নিয়ে দুবাই পাড়ি দিয়েছেন। এর আগে গতকাল সকালে কলকাতা বিধাননগর, ব্যারাকপুর পুলিশ ও স্পেশাল টাস্কফোর্সের সদস্যরা বাড়িটিতে তল্লাশি চালান। 

এদিকে কলকাতায় এমপির বন্ধু গোপাল বিশ্বাস সম্পর্কেও খোঁজখবর শুরু করেছে পুলিশ। এমপির দীর্ঘদিনের বন্ধু গোপাল বিশ্বাস কলকাতার বরানগরের মণ্ডলপাড়া লেনের একটি বাড়িতে থাকেন। সেই বাড়িতে তিনি একাই থাকেন। তাঁর ছেলে ও স্ত্রী অন্য বাড়িতে থাকেন। তাঁর এক ছেলে চিকিৎসক। গোপাল এলাকায় কারও সঙ্গে মিশতেন না বলে জানা গেছে। 

পুলিশ সূত্রের খবর, এই খুনের ঘটনা তদন্তের ক্ষেত্রে গোপাল বিশ্বাসের দিকেও নজর রাখছে গোয়েন্দা আধিকারিকেরা। গোপালও কোনোভাবে সন্দেহের তালিকার বাইরে নন বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

 

মন্তব্য করুন