নরসিংদী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩ মে, ২০২৪, ০৫:৫৮ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

নরসিংদীতে কাপড় ব্যবসায়ীকে হত্যা, সাত জনের যাবজ্জীবন

ছবি সংগৃহীত

মোঃ মনসুর আলী (৫৫) নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে হত্যা করার অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদন্ডের এক রায় প্রদান করা হয়েছে । গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শামীমা পারভীন এক জনাকীর্ণ আদালতে এর রায় প্রদান করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছে, আলামিন (৩২) পিতা-আবুল হাসেম তার ভাই ইউসুফ আলী (২৫) নওশের আলী পিতা-মাজু মিয়া সর্ব সাং-ছগরিয়া পাড়া, ছালাহ উদ্দিন (২৩) পিতা-সাহাজ উদ্দিন সাং-করিমপুর, সাহার আলী (২৬) পিতা-আলমাছ, সাং-আলীপুর ও এম আর খান (২৮) পিতা-আনোয়ার আলী সাং-নবীপুর, সর্ব-থানা ও জেলা- নরসিংদী।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ, ২০০৯ সালের ৭ এপ্রিল মেয়ে সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের হিসেবে নরসিংদী সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের ছগরিয়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ কাজীম উদ্দিন এর পুত্র কাপড় ব্যবসায়ী মোঃ মনসুর আলী মাধবদী বাজার থেকে কাপড় বিক্রী করে সন্ধ্যা অনুমান সাত টার দিকে নরসিংদী শহরের সাটির পাড়া বাসষ্ট্যান্ডে আসলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা উপরোক্ত আসামীরা মনসুর আলীকে একটি মাইক্রোবাসযোগে উঠিয়ে নিয়ে যায়। সারারাত অনেক খোজাখুজির পরও তাকে পাওয়া যায়নি। পরদিন ৮ এপ্রিল
সকালে নরসিংদী সদর উপজেলার উদিংদিয়া গ্রামের নিকটবর্তী মেঘনা নদীর পাড়ে ধান ক্ষেতের ভিতর থেকে মনসুর আলীর লাশ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী জাহানারা বেগম বাদী হয়ে আল-আমিনসহ ৯ জনকে আসামী করে নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৪ তারিখ ৮ এপ্রিল ২০০৯। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। উক্ত মামলায় ১৮ জন স্বাক্ষীর উপযুক্ত স্বাক্ষ্য প্রমাণে আসামীগন দোষী প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে উপরোক্ত রায় প্রদান করেন। একই মামলায় মোঃ জয়নাল আবেদীন ও সোহেল মিয়ার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমানতি না হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে বেকুসর খালাস প্রদান করেন। বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর এড. মোঃ অলিউল্লাহ ও এড. আসাদুজ্জামান (জামান) এবং আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. সাজ্জাদ হোসেন শেখর।

মন্তব্য করুন