সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৯ জুন, ২০২৪, ০৫:২৩ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

সোনারগাঁয়ে সাবেক ইউপি সদস্য মোর্শেদার ওপর হামলা

নারী ইউপি সদস্য মোর্শেদা বেগম ও ইউপি সদস্য খোরশেদ ফরাজী। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পিরোজপুর ইউনিয়নের সাবেক নারী ইউপি সদস্য মোর্শেদা বেগমের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে একই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য খোরশেদ ফরাজী ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে। এ নেক্কারজনক ঘটনায় আহত মোর্শেদা বেগম বাদী হয়ে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে থানা পুলিশের কয়েকজন সাব ইন্সপেক্টরের সাথে অভিযুক্ত খোরশেদ ফরাজীর সক্ষতা থাকায় ঘটনার পর অভিযোগ দিলেও তাৎক্ষণিক কোন পুলিশ তদন্ত করতে যায়নি বলেও জানান মোর্শেদা বেগম।

থানায় দায়ের করা অভিযোগে মোর্শেদা বেগম উল্লেখ করেন, বিবাদী ১। মোঃ খোরশেদ ফরাজী (৩২), পিতা-মৃতঃ সুরুজ মিয়া, ২। মোঃ মোশারফ (৪৩), ৩। মোক্তার (৪৫), উভয় পিতা-মৃতঃ নুরা ডাক্তার, ৪। দেলোয়ার (৪৩), পিতা-মৃতঃ আউয়াল, ৫। মোঃ সাব্বির (২৩), পিতা-গিয়াস উদ্দিন মুন্সি, সর্ব সাং মঙ্গলেরগাঁও, ইউপি-পিরোজপুর, থানা-সোনারগাঁ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ সহ আরো অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন বিবাদীদের সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়া পূর্ব হইতে বিরোধ চলিতেছে। উক্ত বিরোধের জের ধরিয়া বিবাদীরা ইতিপূর্বে আমাকে মারপিট করে এবং ভয়ভীতি সহ প্রাননাশের হুমকী দিয়া আমার উপর অত্যাচার করে আসিতেছিল। ২৮/০৬/২০২৪ তারিখ শুক্রবার সকাল আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকার সময় সোনারগাঁ থানাধীন বটতলা সাকিনস্থ ৪নং বিবাদীর মুদিদোকানের সামনে পাওনা টাকা চাইলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া উপরোক্ত বিবাদীগন সহ অজ্ঞাত নামা বিবাদীরা পরস্পর যোগসাজসে বেআইনী জনতাবদ্ধে আমাকে এলোপাথারী কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া ও লাঠিসোঠা দিয়া পিটাইয়া আমার হাতে, পায়ে, পিঠে, মাথায় ও মুখমন্ডল সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। ২ নং বিবাদী আমার বুকে ঘুষি মারিয়া গুরুতর জখম করে এবং আমার সাথে থাকা নগদ ১৪,০০০/-টাকা নিয়া যায়। আমি বাধা নিষেধ করিলে উল্লেখিত সকল বিবাদীরা আমার পরিহিত জামা কাপড় ধরিয়া টানা হেচড়া করিয়া শ্লীলতাহানি করে। ১নং বিবাদী আমার পেটে লাথি মারিয়া জখম করে। আমার ডাক চিৎকার শুনিয়া আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিতে থাকিলে বিবাদীগন আমাকে শান্তিতে এলাকায় বসবাস করিতে দিবেনা এবং তাহারা যে কোন সময় সুযোগে আর্থিক ভাবে অপূরনীয় ক্ষতি সাধন করিবে বলিয়া ভয়ভীতি সহ প্রাননাশের হুমকী প্রদান করে চলে যায়। আমি লোকজনদের সহযোগীতায় সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়া চিকিৎসা গ্রহন করি।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কামরুজ্জামান বলেন এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

মন্তব্য করুন