লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪ জুন, ২০২৪, ০৮:৫৪ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

লাকসামে জমে উঠছে কোরবানির পশুর হাট

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঈদুল আজহার আর মাত্র ২ দিন বাকি। এরইমধ্যে লাকসামের বিভিন্ন পশুর হাটগুলো পুরদমে জমে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোরবানির পশুও আসতে শুরু করেছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত চলবে এসব পশু কেনাবেচা।

লাকসাম উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত বছর মাঝারি সাইজের গরুর বেচাকেনা বেশি ছিল। তবে এবার বেশিরভাগ ক্রেতার নজর ছোট গরুতে। খাসি ছোট-বড় সব সাইজেই বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েকদিনের চেয়ে আজ (১৪জুন) শুক্রবার থেকে কেনাবেচা পুরোদমে জমবে উঠেছে। 

উপজেলার, আজগরা বাজার, ফুলগাও, ইছাপুরা, গোবিন্দপুর বাজারের হাটগুলোতে দেখা যায়, রংপুর, সিরাজগঞ্জ ও নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রাকে করে গরু-ছাগল আসছে। পাশাপাশি ভারত ও মিয়ানমার থেকে আসা পশুও রয়েছে বেশ। আজ এ বাজারগুলোর শেষ দিন হওয়ায় বেচাকেনাও হচ্ছে অনেক।

বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, ‘বিক্রেতারা আকাশচুম্বী দাম হাঁকাচ্ছেন। যার যেমন ইচ্ছে দাম চাচ্ছেন। বড় কোরবানির পশু দেড় লাখ টাকা থেকে ৪/৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকা হচ্ছে। আর ছোট ও মাঝারি সাইজের পশুগুলো ৮০ হাজার থেকে ৬০/৭০ হাজার টাকা দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। তবে এ বছর বড় সাইজের চেয়ে ছোট কোরবানির পশুগুলোই বিক্রি হচ্ছে অনেক বেশি।

আজগরা বাজারের ক্রেতা সাইফুল ইসলাম দৈনিক রুপালি বাংলাদেশকে বলেন, ব্যাপারীরা গরুর দাম বেশি চাচ্ছেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত হাটে আছি। বাধ্য হয়ে দেড় লাখ টাকার গরু এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে কিনতে হলো।

ব্যাপারী ইমান হোসেন দৈনিক রুপালি বাংলাদেশকে জানান, গরুর খাবার ও মেডিসিনের দাম বর্তমানে অনেক বেশি। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে গরু বাজারে আনতে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খরচও হয় অনেক। তাই গরুর দাম একটু বেশি। গরু পালন করতে কতো খরচ হয় ক্রেতাদের কোনো ধারণা নেই।

তারা আরো বলেন, শুরু থেকেই ক্রেতার আগ্রহ দেখছি ছোট গরুতে। আজ অনেকে দেখে দাম-দর করে যাচ্ছেন। কাল তারাই কিনে নিয়ে যাবেন। কয়েকজন তো আগাম অর্ডার দিয়ে গেলেন।

একই হাটের ছাগল ও ভেড়ার শেডে গিয়ে দেখা যায়, শতশত ছাগল ও ভেড়ায় ভরে গেছে হাট। দাম-দরে হরহামেশা বিক্রি হচ্ছে খাসি-ভেড়া। এবার ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায়ও খাসি মিলছে। অনেক বিক্রেতা বিভিন্ন চল-চাতুরী করে পাঠাকে খাসি বানিয়ে বিক্রি করছেন।

লাকসাম উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান জানান, এ বছর ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর বিশাল চাহিদা মেটাতে এ অঞ্চলে পর্যাপ্ত সংখ্যক গবাদিপশু রয়েছে। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার তথ্যানুযায়ী, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে চাহিদার তুলনায় দ্বিগুন পশু প্রস্তুত রয়েছে। গতবারের তুলনায় ক্রেতারা এবার সাধ্যের মধ্যেই পশু কোরবানি দিতে পারবেন বলে জানা যায়।

মন্তব্য করুন