রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৭ জুন, ২০২৪, ১০:১৮ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেল বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেওয়া ঋণের তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আইএমএফের দেওয়া ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে এই অর্থ যোগ হয়েছে।

রিজার্ভে আইএমএফ থেকে ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন বা ১১৫ কোটি ডলার, কেরিয়া, আইবিআরডি ও আইডিবি থেকে আরও ৯০০ মিলিয়ন বা ৯০ কোটি ডলার যোগ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে বৃহস্পতিবার মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে।
 
এর আগে গত সোমবার (২৪ জুন) বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তির আওতায় তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন দেয় আইএমএফ। আর ঋণের কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে আইএমএফের দেওয়া শর্ত বাস্তবায়ন এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের অগ্রগতি দেখতে ২৪ এপ্রিল ঢাকায় আসে সংস্থাটির একটি মিশন। তারা ৮ মে পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে।
 
এতে শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ সংস্কার কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চান তারা। শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে ঢাকাত্যাগ করে প্রতিনিধি দলটি।
 
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকায় গত বছরের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করে বাংলাদেশ। এর তিন দিন পর প্রথম কিস্তিতে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার ছাড় করে সংস্থাটি। এরপর গত ১৬ ডিসেম্বর আসে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার।

২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার কথা রয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির পরবর্তীগুলোতে সমান অর্থ থাকার কথা থাকলেও রিজার্ভ আরও কমে যাওয়ায় তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তিতে বেশি অর্থ চায় বাংলাদেশ। বেশ কিছু কঠিন শর্তের বাস্তবায়ন ও আগামীতে আরও বড় সংস্কার কার্যক্রমের প্রতিশ্রুতি দেয়ায় সংস্থাটি তৃতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ডলারের পরিবর্তে ১১৫ কোটি ডলার অনুমোদন করেছে।
 
আইএমএফের দেয়া ঋণের একটি অংশ জলবায়ু তহবিলের, যা বাংলাদেশকেই প্রথম দেওয়া হয়েছে। এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকুক, তা চায় সংস্থাটি। এজন্য চতুর্থ কিস্তির জন্য আগামী জুন শেষে নিট রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার।

 

মন্তব্য করুন