শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৮ জুন, ২০২৪, ০৫:১৩ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

২৪ ঘন্টায় বিদ্যুৎ মিলছে ১২ ঘন্টা

শরীয়তপুরে ঘন ঘন লোডশেডিং, অতিষ্ঠ জনজীবন

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, তারপরও শরীয়তপুরে চলছে ঘন ঘন লোডশেডিং। ২৪ ঘন্টার মধ্যে মিলছে ১২ ঘন্টা আর বাদ বাকি সময় লোডশেডিং। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলগুলো পড়েছে লোডশেডিংয়ের কবলে। দিন কিংবা রাত সমান তালে হচ্ছে লোডশেডিং। দিন-রাত সমানতালে লোডশেডিং হচ্ছে এমন অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা যায়, ২৪ ঘণ্টায় অর্ধেকের বেশি সময়ই থাকছে না বিদ্যুৎ। ফলে শিশু-বৃদ্ধসহ বাড়িতে থাকা অসুস্থ মানুষজনকে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। তাদের বিশ্রামের প্রয়োজন হলেও বিদ্যুৎ না থাকায় ঘরে থাকতে পারছেন না তারা। ফলে গাছের ছায়ায় ঠাণ্ডাযুক্ত স্থানে মাদুর বিছিয়ে বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। এ ছাড়াও খাবার রান্নাসহ ঘরের আনুষঙ্গিক কাজ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গৃহিণীরা। রাতেও বিদ্যুতের একই অবস্থা হওয়ার কারণে ভোগান্তি আরও বেড়েছে।

জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দেয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলায় শরীয়তপুর গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (শপবিস)। জেলায় আবাসিক, বাণিজ্যিকসহ বিদ্যুতের বিভিন্ন পর্যায়ের তিন লাখ ৬৬ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। বিভিন্ন পর্যায়ের এসব গ্রাহকের জন্য প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৯০ মেগাওয়াট। তবে সরবরাহ কম থাকায় গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে ৪৫ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ দেওয়া হয় না। ফলে জেলার ছয়টি উপজেলায় দিনে-রাতে ৮-১০ বার লোডশেডিং হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও জেলায় একাধিকবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কনফেকশনারি ব্যবসায়ী ছাত্তার শিকদার বলেন, গরমে আইসক্রিম ও কোল্ড ড্রিংসের চাহিদা বেশি থাকে। কিন্তু এই লোডশেডিংয়ের কারণে আইসক্রিম গলে যাচ্ছে ও কোল্ড ড্রিংকসও গরম হয়ে যাচ্ছে।

কলেজছাত্র বিল্লাল বলেন, দিনের বেলা কোনোরকম বিদ্যুৎ থাকলেও রাতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকেতো দুই ঘণ্টাই থাকে না। এভাবে লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারছি না।

সদর উপজেলার ডোমসার মসজিদের মুসল্লী আশরাফ মাদবর বলেন, নামাজের সময় ও ঠিক মতো কারেন্ট দেয় না। আর সময়ের হিসাব করে লাব কি। বাদ বাকি সময় তো দপয় আর নেয়।

রাইচ মিল মালিক আল-আমিন অভিযোগ করে বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমতো কাজ করতপ পারছিনা। এক ঘণ্টা থাকলে দু'ঘন্টাই থাকেনা। দোকানে কাস্টমারের চাপ তবে তাদের ধান, গম ভাঙ্গতে পারছিনা।

এবিষয়ে জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আলতাপ হোসেন বলেন, জেনারেশন ফল্ট করায় চাহিদার তুলনায় জেলায় বিদ্যুৎ কম পাচ্ছি। তাই বাধ্য হয়ে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। তবে প্রতিনিয়ত ১২ ঘণ্টা একটানা লোডশেডিং দিচ্ছি না। সার্কেল আকারে একঘণ্টা পরপর লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি এক সপ্তাহর মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’

মন্তব্য করুন