রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৬ জুন, ২০২৪, ০৯:৪২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

এমপি আনার হত্যা: সিয়ামকে কলকাতা পুলিশকে দিলো নেপাল

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সিয়ামকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছে নেপাল প্রশাসন। পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। পাশাপাশি সিয়াম এবং আক্তারুজ্জামান শাহীন কাঠমান্ডুর যেসব হোটেলে ছিলেন, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করেছে কলকাতার গোয়েন্দারা।

কলকাতার গোয়েন্দারা জানিয়েছে, এমপি আনার ও শিলাস্তির কথোপকথনের সম্পূর্ণ রেকর্ডিং হাতে পেয়েছে কলকাতা পুলিশ ও সিআইডি নিয়ে গঠিত বিশেষ তদন্ত দল। ঢাকার গোয়েন্দা বিভাগ ডিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। একই সঙ্গে সব প্রশাসনিক জটিলতা কাটিয়ে সিয়ামকে দ্রুত কলকাতায় আনার চেষ্টাও চলছে।

পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি সূত্র জানায়, এমপি আনারকে খুনের পর তার মোবাইল থেকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো বার্তাও নেপালে আত্মগোপন করে থাকা এই সিয়ামই পাঠিয়েছিল। আরও একটি অত্যন্ত তৎপর্যপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে তদন্তে।

চলতি বছরেই এমপি আনারের সঙ্গে আরও এক নারী ভারতে এসেছিলেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। সেই নারীর সঙ্গে শিলাস্তির মেসেজ আদান-প্রদানের কিছু নির্দিষ্ট প্রমাণ গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। সেই সূত্র ধরেই দ্বিতীয় সেই নারীকেও চিহ্নিত করে হেফাজতে নেওয়ার জন্য ঢাকার গােয়েন্দাদের অনুরোধ জানানো হয়েছে কলকাতার গােয়েন্দাদের পক্ষ থেকে।

ভারতের কৃষ্ণমাটি এলাকার বাগজোলা খালে আনোয়ারুল আজীমের দেহাবশেষ ফেলার ব্যাপারে সিআইডিকে প্রথম তথ্য দিয়েছিল ঘাতকদের ভাড়া করা ক্যাবচালক। সেই মতো তল্লাশি শুরু করে সিআইডি। সেই তল্লাশি প্রক্রিয়ায় অংশ নেন ঢাকার গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও। কিন্তু কসাই জিহাদের বিভ্রান্তিকর তথ্যের ওপর ভরসা করে লাগাতার তল্লাশিতে এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি এমপি আনারের মাথার খুলি কিংবা হাড়ের খণ্ডিত অংশ। সেখানে গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে নৌবাহিনীর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তল্লাশি। ভারতীয় নৌসেনার তিনজনের একটি প্রতিনিধিদল এবং সিআইডির একটি দল ওই খালে তল্লাশি চালাচ্ছে। যদিও এখন পর্যন্ত কিছু মেলেনি।

 

মন্তব্য করুন