রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০ জুন, ২০২৪, ০২:৪৩ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

পোস্তায় এক লাখ কাঁচা চামড়া সংগ্রহ

ছবি: সংগৃহীত

লালবাগে পোস্তায় এবার কোরবানির ঈদে এক লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। তবে এসব চামড়ার মধ্যে গুটি পক্স, ভালোভাবে মাংস না ছাড়ানোসহ বিভিন্ন কারণে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ নষ্ট হতে পারে বলে শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

পোস্তার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলা জানা গেছে, চামড়া সংগ্রহ শুরু হওয়ার পরপরই অর্থাৎ ঈদের দিন বিকেল ৫টার পর থেকে চামড়া কেনাবেচা জমে ওঠে। ঈদের দিন গভীর রাত পর্যন্ত চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। ঈদের পর দিন এবং আজ বুধবারও (১৯ জুন) চলছে বেচাকেনা।

তবে পোস্তায় আড়তের সংখ্যা যেমন কমেছে তেমনি বাজারে চামড়া আসার পরিমাণও কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ঈদের তৃতীয় দিন বুধবার (১৯ জুন) রাজধানীর কাঁচা চামড়ার সবচেয়ে বড় বাজার পোস্তায় গিয়ে দেখা গেছে, সংগ্রহ করা কাঁচা চামড়ায় লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করার কাজে ব্যস্ত আড়তদাররা।

বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) সভাপতি আফতাব খান জানান, পোস্তায় এ মৌসুমে ১ লাখ কাঁচা চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। মঙ্গলবারও কোরবানির পশুর চামড়া কিনেছেন, আজও কোরবানির পশুর চামড়া আসলে কেনা হবে বলেও জানান তিনি।

সংগঠনটির নেতারা বলছেন, কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ-সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এবার বড় চ্যালেঞ্জ অতিরিক্ত গরম। বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি এড়াতে দ্রুত লবণ ব্যবহারের পরামর্শ তাদের।

পোস্তায় চামড়া সংগ্রহের পর লবণজাত করে সাভারের ট্যানারিগুলোতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা।

তবে চলতি বছর কোরবানির ঈদে গুটি পক্সের কারণে চামড়া নষ্ট হয়েছে। এ ছাড়াও সঠিকভাবে চামড়া থেকে মাংস না ছাড়ানো এবং সঠিক প্রক্রিয়ায় লবণ দিতে না পারায় চামড়া নষ্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে এবার ঈদে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিএইচএসএমএ নেতারা।

বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে চামড়ায় লবণ ব্যবহারের তাগিদ দিয়েছেন আড়তদাররা। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, গরমের কারণে চামড়া দ্রুত নষ্ট হয়। তাই ৬ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যে চামড়ায় লবণ দিতে হবে। তা না হলে চামড়া নষ্ট হয়ে যাবে।

সংরক্ষণ সঠিক হলে ভালো দামে কেনার আশ্বাস দিয়েছেন ট্যানারি মালিকরাও। তারা বলছেন, সংরক্ষণের চ্যালেঞ্জের মধ্যেই এবার সংগ্রহ করতে হবে কোরবানির পশুর চামড়া। হেলাফেলা করলে চলবে না, কারণ বছরব্যাপী ট্যানারিতে দরকারি চামড়ার অর্ধেকের বেশি আসে এক কোরবানির ঈদে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সবার পক্ষে চামড়ায় লবণ দেওয়া সম্ভব হয় না। তাদের উচিত হবে দ্রুত কাঁচা চামড়া বিক্রি করে দেওয়া। রাজধানীতে পোস্তা ছাড়াও ঈদের দিনে সায়েন্সল্যাব, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ, মিরপুর, গুলশান, বনানী, সাভার, হেমায়েতপুর, আমিনবাজার, জিঞ্জিরা, কেরানীগঞ্জ, টঙ্গীসহ বিভিন্ন স্থানে কাঁচা চামড়া কিনেছেন আড়তদাররা।

মন্তব্য করুন