বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৮ জুন, ২০২৪, ০৫:২৭ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বাগেরহাটে দশ বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বাগেরহাটে ১০ বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার। সর্বশেষ ২০২২ সালের জনশুমারির অনুযায়ী জেলার মোট জনসংখ্যা ১৬ লাখ ১৩ হাজার । ২০১১ সালে মোট জনসংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ৪৯ হাজার জন। এর আগে ২০০১ সালের জরিপে এই জেলার জনসংখ্যা ছিল ১৫ লাখ ৪৯ হাজার, ১৯৯১ সালে ছিল ১৪ লাখ ৩১ হাজার এবং ১৯৮১ সালে ১২ লাখ ৩ হাজার। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে বসবাসের ঘনত্বও বেড়েছে এই জেলায়। বর্তমানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে বসবাস করেন ৪০৭ জন। ২০১১ সালে যা ছিল ৩৭৩ জন। বেড়েছে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার। গড় বৃদ্ধির হার ০ দশমিক ৭৯ শতাংশ। ২০১১ সালে এ হার ছিল ০ দশমিক ৪৭শতাংশ। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর জেলা রিপোর্ট প্রকাশনা অনুষ্ঠানে পরিষখ্যান ব্যুরোর পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাঃ খালিদ হোসেন। এসময় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপসচিব মো. শামছুর রহমান, অতিরিক্তে জেলা প্রশাসক অলবিন্দু ‍বিশ্বাস, জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপ-পরিচালক মো. রাসিউল ইসলামসহ বিভিন্ন শ্রেনি পেশার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

রিপোর্ট অনুযায়ী, জেলায় পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি। মোট জনসংখ্যার ৪৯.৭৪ শতাংশ পুরুষ ও ৫০.২৬ শতাংশ নারী। এই হিসেবে পুরুষের থেকে ৮ হাজার ৩৭৭জন বেশি নারী রয়েছে জেলায় । জেলার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ১২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯০ জন মানুষ গ্রামে বসবাস করেন। এই জেলায় মুসলিম জনসংখ্যা ৮৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। হিন্দু জনসংখ্যা ১৬.৩৮ শতাংশ। বৌদ্ধ জনসংখ্যা ০.১ শতাংশ। খ্রিস্টান জনসংখ্যা ০.৩৭ শতাংশ। অন্যান্য ০.০২শতাংশ।

জনশুমারির তথ্য মতে, জেলার সবথেকে বেশি জনসংখ্যা রয়েছে মোড়লগঞ্জে। এই উপজেলোর জনসংখ্যা ৩ লাখ ৪ হাজর ৮৬৫ জন। এর পরেই বাগেরহাট সদর উপজেলায় ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬৭৩ জন। এছাড়াও শরণখোলায় ১ লাখ ২০ হাজর ৯২০ জন, কচুয়ায় ১ লাখ ৭ হাজর ৪২৩ জন, চিতলমারীতে রয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩ জন, ফকিরহাটে রয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ১৯ জন, মোল্লাহাটে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬১৫ জন, রামপালে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৫৮ জন এবং মোংলায় ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪৭০ জন মানুষ রয়েছে।

এই জেলার মানুষের অর্ধেকের বেশি কৃষি কাজের সাথে জড়িত। শতাংশের হিসেবে কৃষি কাজে ৫০ দশমিক ৩০ শতাংশ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি চাকুরী ও সেবা খাতে ৩৭ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং শিল্প খাতে ১২ দশমিক ৪১ শতাংশ মানুষ জড়িত রয়েছে।

মন্তব্য করুন